রুশ কোম্পানি থেকে তেল আমদানি স্থগিত করল ভারতের রিলায়েন্স
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বৃহত্তম তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট থেকে তেল আমদানি স্থগিত করেছে ভারতের শীর্ষ তেল আমদানিকারক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিলায়েনর্স ইন্ডাস্ট্রিজ। ভারতের ধনকুবের এবং বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানি এই প্রতিষ্ঠানের মালিক।
রিলায়েন্স গ্রুপের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, “রিলায়েন্স রাশিয়ার তেল ক্রয় স্থগিত করেছে। এ ইস্যুতে কোম্পানি ভারতীয় সরকারের নির্দেশনা মেনে চলবে।”
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আগে থেকেই রোসনেফ্টের কাছ থেকে তেল আমদানি করত ভারত, তবে যুদ্ধের পর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র রুশ তেলের দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যায়। ফলে তেল আমদানির পরিমাণও বাড়িয়ে দেয় ভারত এবং এক্ষেত্রে এগিয়ে আসেন বেসরকারী উদ্যোক্তা ও পুঁজিপতিরা।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে ভারতের বেসরকারি ব্যবসায়ী ও পুঁজিপতিদের মধ্যে রুশ তেল আমদানিতে শীর্ষে আছেন মুকেশ আম্বানি। রোসনেফ্টের সঙ্গে তেল ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি করেছে তার নেতৃত্বাধীন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বা রিলায়েন্স গ্রুপ এবং সেই চুক্তি অনুসারে প্রতিদিন রিলায়েন্সকে ৫ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করে আসছিল রোসনেফ্ট।
গুজরাটের বন্দর থেকে খালাসের পর সেই তেল নিয়ে যাওয়া হতো জামনগরে রিলায়েন্স গ্রুপের তেল শোধনাগারে। সেখানে পরিশোধন শেষে ভারতের বাজারে যেত রাশিয়ার তেল।
রিলায়েন্স গ্রুপের জামনগরের শোধনাগারটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শোধনাগার। দৈনিক ১০ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল পরিশোধনের সক্ষমতা আছে এটির।
ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় ২২ অক্টোবর বুধবার দুই বৃহত্তম রুশ তেল কোম্পানি রোসনেফ্ট ও লুকোইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ। এ সংক্রান্ত এক বিবৃতিতে ট্রেজারি বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, রোসনেফ্ট এবং লুকোইলের সঙ্গে বিশ্বের যেসব কোম্পানির তেল লেনদেন চুক্তি আছে, সেসব স্থগিত বা বাতিলের জন্য ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিচ্ছে ট্রেজারি বিভাগ। এই সময়সীমার মধ্যে যদি কোনো কোম্পানি চুক্তি বাতিলে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।