করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা না নিলে দেশের নাগরিকদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। সোমবার (২১ জুন) টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এই হুমকি দেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, মহামারি মোকাবিলায় ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় টিকাদান কর্মসূচি চললেও তাতে মানুষের সাড়া পড়ছে বেশ কম। গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসার পরই সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘করোনা টিকা নেবেন অথবা আমি আপনাকে (টিকা নিতে না চাওয়া ব্যক্তি) কারাগারে পাঠাবো। এই দু’টির মধ্যে আপনারাই একটা বেছে নিন।’

করোনা টিকা নেওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের এই হুঁশিয়ারি অবশ্য দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বক্তব্যের একেবারে বিপরীত। মানুষকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা প্রথম থেকেই বলছেন, এটি ঐচ্ছিক। অর্থাৎ টিকা নেওয়াটা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বলা কথার উল্টোটাই বলছেন দুতের্তে।

ফিলিপাইনের এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাকে ভুল বুঝবেন না। দেশে একটি সংকট চলছে। এর থেকে উত্তরণে দেশের নাগরিকরা সরকারকে সহায়তা না করায় আমি খুবই হতাশ।’

করোনাভাইরাস মহামারিতে এশিয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি ফিলিপাইন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ।

রয়টার্স বলছে, ১১ কোটি জনসংখ্যার এই দেশটিতে জুনের ২০ তারিখ পর্যন্ত মাত্র ২১ লাখ মানুষকে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনতে পেরেছে দুতের্তে প্রশাসন। অবশ্য চলতি বছরের মধ্যেই দেশের ৭ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির। তবে ধীরগতির টিকাদান কর্মসূচির কারণে সেই লক্ষ্য অর্জিত হওয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স

টিএম