পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে দেশটির জঙ্গিগোষ্ঠী পাকিস্তান তালেবান। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত চত্বরে হামলার দায় স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি। ইসলামাবাদে তালেবান সদস্যের আত্মঘাতী এই হামলায় অন্তত ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

যদিও ওই হামলায় চিরবৈরী প্রতিবেশী ভারত-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।বোমা হামলার ঘটনার পরপরই এক বিবৃতিতে এমন অভিযোগ করেছেন তিনি।

এর আগে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১২টা ৩৯ মিনিটের দিকে ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালতের বাইরে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১২ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে তালেবান বলেছে, পাকিস্তানের বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে মঙ্গলবার ওই হামলা চালানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আমাদের যোদ্ধা ইসলামাবাদের বিচার বিভাগীয় কমিশনে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের অনৈসলামিক আইনের অধীনে যারা রায় প্রদান করেছেন; সেই বিচারক, আইনজীবী ও কর্মকর্তারাই আমাদের লক্ষ্য ছিলেন।’’

দেশটিতে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়ে তালেবান বলেছে, মুসলিমপ্রধান পাকিস্তানে ‘‘ইসলামী শরিয়া আইন কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত’’ এই ধরনের আরও হামলা চালানো হবে।

এর আগে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বিবৃতিতে বলেছেন, ‌‌ভারতের সন্ত্রাসী বিভিন্ন প্রক্সি গোষ্ঠীর মাধ্যমে পাকিস্তানের নিরস্ত্র নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‌‌‘‘ভারতকে এই অঞ্চলে প্রক্সির গোষ্ঠীগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাস ছড়ানোর মতো জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।’’

এছাড়া বিস্ফোরণের পরপরই দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আফগানিস্তানের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, কাবুলের শাসকরা পাকিস্তানে সন্ত্রাস বন্ধ করতে পারে, কিন্তু ইসলামাবাদে এই যুদ্ধ নিয়ে আসা কাবুলের একটি বার্তা; যার জবাব পাকিস্তান পুরোপুরি দিতে সক্ষম।

বিস্ফোরণের এই ঘটনাকে দেশের জন্য ‘‘এক সতর্কবার্তা’’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খাজা আসিফ বলেছেন, আমরা যুদ্ধাবস্থায় রয়েছি। কেউ যদি মনে করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী কেবল আফগান-পাকিস্তান সীমান্ত এলাকা কিংবা বেলুচিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যুদ্ধ করছে, তাহলে আজ ইসলামাবাদের জেলা আদালতে আত্মঘাতী হামলাটি তাদের জন্য সতর্কবার্তা।

সূত্র: ডন, এএফপি।

এসএস