ইরানের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বাস্তবতার নিরিখে মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেছেন, মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার আলোকে ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টকে বিচার করবে সৌদি।

একই সঙ্গে ইরানের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের তেমন কিছুই করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ফয়সাল। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিই দেশটির পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।

ইরানের কট্টরপন্থী বিচারপতি ইব্রাহিম রাইসি গত শুক্রবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছেন। সোমবার তিনি বলেছেন, আরব উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিবেশিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি করতে চান তিনি। এর পাশাপাশি অবিলম্বে ইয়েমেনে হস্তক্ষেপ বন্ধে আঞ্চলিক চিরবৈরী প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরবের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

ছয় বছরের যুদ্ধের পরও ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে রিয়াদ। পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে তেহরান এবং ওয়াশিংটন পারমাণবিক চুক্তি ফের পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সৌদি আরব এই চুক্তির বিরোধিতা করছে।  

প্রিন্স ফয়সাল বলেছেন, আমাদের মতে— ইরানের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হয় দেশটির সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশনায়। এমন পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে আমাদের মিথস্ক্রিয়া অথবা অবস্থান বাস্তবতার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। ক্ষমতায় কে আসছে সেটি নয়, আমরা নতুন সরকারকে বিচার করব বাস্তবের ভিত্তিতেই।

কিন্তু ইরানের সেই বাস্তবতা তিনি কীভাবে পরিবর্তন করতে চান সেব্যাপারে কিছু বলেননি সৌদির এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যাপারে যেসব প্রশ্নের জবাব মিলছে না সেগুলো নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন।

পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত রাখায় সৌদি আরব এবং এর উপসাগরীয় অঞ্চলের মিত্ররা বরাবরই ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে আসছে। যদিও তেহরান বলেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।

তবে মার্কিন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার ধারণা— ইরানের একটি গোপন এবং সমন্বিত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালু আছে; যা ২০০৩ সালে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার লাগাম টানতে গত এপ্রিলে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে সরাসরি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস