ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ৭ সদস্যকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের
পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযানে (আইবিও) ভারত–সমর্থিত ফিতনা আল-খাওয়ারিজ গোষ্ঠীর ৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছেন দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সোমবার খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলায় ওই অভিযানে দেশটির সেনাবাহিনীর এক সদস্যও নিহত হয়েছেন।
দেশটির সামরিক বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফিতনা আল-খাওয়ারিজ গোষ্ঠীর উপস্থিতির খবরে নিরাপত্তা বাহিনী ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় ওই অভিযান পরিচালনা করেছে।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযান চলাকালে আমাদের সৈন্যরা খারিজিদের অবস্থানে কার্যকর হামলা চালিয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে তীব্র গোলাগুলি হয়। এতে অন্তত সাত খারিজি নিহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের আইএসপিআর বলেছে, তীব্র গোলাগুলির সময় ৩৪ বছর বয়সী নায়েক ইয়াসির খান সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ও শাহাদাত বরণ করেন। নিহত খারিজিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা ওই এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বলেছে, ওই এলাকায় ভারতীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে তল্লাশি অভিযান চলছে। আইএসপিআর বলেছে, ‘আজম-ই-ইস্তেহকাম’ ভিশনের আওতায় নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পূর্ণ গতিতে চলবে; যাতে বিদেশি মদদপুষ্ট ও সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের অভিশাপ দেশ থেকে নির্মূল করা যায়।
২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দেশটির সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে প্রায় প্রতিনিয়ত হামলার ঘটনা ঘটছে।
আফগান ভূখণ্ড যেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত না হয়, তালেবান সরকারের প্রতি সেই আহ্বান জানিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। এ ইস্যুতে সম্প্রতি উভয় দেশের মাঝে উত্তেজনা ব্যাপক বেড়েছে। এই ঘটনায় উভয় দেশের সৈন্যরা একাধিকবার পাল্টাপাল্টি আন্তঃসীমান্ত হামলাও চালিয়েছে।
সম্প্রতি কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আফগানিস্তানের আলেমদের এক বৈঠকে জোর দিয়ে বলা হয়, দেশের ভূখণ্ডকে অন্য কোনও রাষ্ট্রকে হুমকি কিংবা ক্ষতি করার কাজে ব্যবহার করা যাবে না। ইসলামাবাদ এ প্রস্তাবকে ‘ইতিবাচক অগ্রগতি’ হিসেবে স্বাগত জানালেও বলেছে, অতীতেও এ ধরনের অঙ্গীকার করা হয়েছিল। কিন্তু আফগান তালেবান সরকার সেসব রক্ষা করেনি।
সূত্র: জিও নিউজ।
এসএস