ইরানের কাছে এমন এক ড্রোন রয়েছে যা ৭ হাজার কিলোমিটারের মধ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় এক কমান্ডারের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম রোবববার এমন খবর জানিয়েছে। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে ইরানের কাছে থাকা এমন ড্রোনের খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বড় শত্রু হলো ইরান। আর তাই ওয়াশিংটন ইরানের এই সক্ষমতাকে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি মনে করতে পারে।  

২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে ইরান ও ছয় পরাশক্তির মধ্যে বৈঠকের মধ্যেই তেহরান তাদের ড্রোন সক্ষমতার এই কথা জানালো। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে ইরানে নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছিল।   

আইআরজিসির কমান্ডার ইন চিফ হোসেইন সালামি

পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানে মাঝেমধ্যেই তাদের সামরিক সক্ষমতাকে অতিরঞ্জিত করে। কিন্তু ড্রোনগুলো ইরানের সীমান্ত নজরদারির সবচেয়ে বড় অস্ত্র। বিশেষ করে হরমুজ প্রণালীর পাশে। এই প্রণালী দিয়ে এক-পঞ্চমাংশ তেল সরবরাহ হয়।   

রয়টার্স লিখেছে, শুধু ইরানের সামরিক বাহিনী নয় তাদের আঞ্চলিক বাহিনীগুলোরও এসব ড্রোনের ওপর নির্ভরশীলতা ক্রমবর্ধহার হারে বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ইয়েমেন, সিরিয়া ও ইরাকে সাম্প্রতিক সময়ে এমনটাই দেখা গেছে। 

আইআরজিসির কমান্ডার ইন চিফ হোসেইন সালামি বলেছেন, ‌‌‘আমাদের কাছে যেসব মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ড্রোন) রয়েছে তার দূরত্ব ৭ হাজার কিমি। এগুলো উড়তে পারে, ফিরে আসতে পারে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী যে কোনো স্থানে অবতরণ করতে পারে।’ 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের সঙ্গে চুক্তিকে পুনরুজ্জীবিত ও পারমাণবিক চুক্তির পরিধি বাড়াতে চান। তার লক্ষ্য হলো ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির লাগাম টানা। একইসঙ্গে তাদের কার্যক্রমের ওপর নজরদারি করা।   

তবে ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রসঙ্গে এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে চায় না ইরান। কেননা মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশে ইরান অপ্রচলিত যুদ্ধে লিপ্ত। আর এতে শিয়াপ্রধান ইরানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সুন্নিপ্রধান সৌদি আরব

এএস