ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে দেশটির বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা নিয়ে আলোচনার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দেশটির সংবাদ সংস্থাগুলোর সূত্রের বরাত দিয়ে কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, কীভাবে আরও অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে আরও আধুনিক করে তোলা যায়, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।

গত শনিবার মধ্যরাতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে দু’টি বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনায় তেমন বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হলেও সরকারসহ গোটা ভারতে এ নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। তারপরই সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসে মোদি সরকার।

জম্মুর বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুটি হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও সেনাঘাঁটিতে ঢুকে পড়ে দুটি ড্রোন। গুরুতর কিছু ঘটার আগেই তৎপর সেনারা তা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। গুলি এড়িয়ে ড্রোন দুটি চলে যায়।

ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তপারের ‘লো কস্ট ওয়ারফেয়ার’ নীতির অঙ্গ এই ড্রোন হামলা। এমন ধরনের হামলা চালাতে যা খরচ, তার চেয়ে অনেক বেশি খরচ পড়ে প্রতিহত করার ক্ষেত্রে। ফলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন মোদি সরকার।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এতদিন সীমান্তে গোলাগুলি চলেছে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণরেখার ২০–২৫ কিলোমিটার দূরত্বে সেনাছাউনিতে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর ঘটনা আগে ঘটেনি। সেই নিরিখে পরপর দুদিনের ড্রোন হামলা সীমান্তপারের সন্ত্রাসের নবতম অধ্যায়।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কাশ্মীরে কীভাবে পুলিশ ও সেনা দলে আরও বেশি করে স্থানীয় সাধারণ তরুণ-তরুণীদের যুক্ত করা যায়, তা নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান জানিয়েছিলেন, হামলার পেছ লস্কর-ই-তৈয়বার হাত থাকতে পারে। তবে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীর ভাগের পর থেকে সেখানে সহিংসতা পরিমাণ অনেকটাই কমেছে বলে মনে করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

এএস