করোনাভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। বিশ্বের অনেক দেশ ভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হলেও ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ডেল্টা ধরনের কারণে ফের বাড়ছে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা, বাড়ছে আতঙ্কও। এই পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো ডেল্টা ধরনকে প্রতিরোধে কতোটা সক্ষম, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

তবে জনসন অ্যান্ড জনসনের দাবি, করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর তাদের করোনা টিকা। গত আট মাসের তথ্য সামনে এনে সংস্থাটি দাবি করেছে, তাদের ভ্যাকসিন করোনা প্রতিরোধে ৮৫ শতাংশ কার্যকর। আর এই ভ্যাকসিন নিলে করোনা মারাত্মক হবে না বা হাসপাতালে ভর্তিরও খুব একটা দরকার হবে না।

এছাড়া তাদের ভ্যাকসিন ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের মোকাবিলায় সফল বলেও জানিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, গত আট মাসের বিশ্লেষণ বলছে- জনসন অ্যান্ড জনসনের কোভিড-১৯ টিকার একটি ডোজ নিলেই গ্রহীতার শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হবে। যত দিন যাবে, এই অ্যান্টিবডি তত শক্তিশালী হবে। তাদের গত আট মাসের অভিজ্ঞতা এটাই বলছে।

এদিকে জার্মানির মানুষকে অবিলম্বে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, জার্মানিতে এখন করোনার ডেল্টা ধরনের ভাইরাস ছড়াচ্ছে। ডেল্টার মোকাবিলা করতে গেলে টিকা নেওয়া জরুরি। ডেল্টাকে আক্রমণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি তাই সাধারণ মানুষের ওপর নির্ভর করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, জার্মানিতে এখন যাদের করোনা হচ্ছে, তাদের অর্ধেকই ডেল্টা ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত।

জার্মানির ভ্যাকসিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যারা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার একটি ডোজ নিয়েছেন, তারা দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে ফাইজার-বায়োএনটেক বা মডার্নার টিকার একটি ডোজ নিতে পারেন। এতে শরীরে করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা আরও বাড়বে।

অন্যদিকে বলকান অঞ্চলের দেশগুলোকে ১০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়েছে ডেনমার্ক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পশ্চিম বলকানের দেশগুলো তাদের প্রতিবেশি। তাই ডেনমার্ক টিকা নিয়ে ওই সব দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে।

টিএম