সপ্তাহজুড়ে তাপ প্রবাহ চলার পর গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া দাবানলে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, দাবানল উপদ্রুত এলাকাসমূহ থেকে লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নিতে ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকারী দলগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে দেশটির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার।

কানাডার স্থানীয় সংবাদপত্র ও জাতীয় সংবাদমাধ্যম সিবিসির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যের ফায়ার সার্ভিস দফতরের দাবানল বিভাগের প্রধান ক্লিফ চ্যাপম্যান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৭৬ টি এলাকায় ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। তার মধ্যে অন্তত ৭৬ টি এলাকায় গত দু’দিন ধরে এখনও সক্রিয় আছে এই দুর্যোগ।

ক্লিফ চ্যাপম্যান বলেন, ‘চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার আবহাওয়া এখন শুষ্ক; সেই সঙ্গে জোর বাতাসের ফলে দাবানল ছড়িয়ে পড়ার আরও বাড়ছে।’

‘দাবানল বিভাগের কর্মীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণে আনার, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কাজ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে।’

দাবানলের ফলে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লিটন শহরে ইতোমধ্যে ২ জন মারা গেছেন উল্লেখ করে শহরটির প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা জহন হাওগেন সিবিসিকে বলেন, ‘লিটনের বাসিন্দারা এখন ব্যাপক আতঙ্কে রয়েছেন। দাবানল সামনে যা পাচ্ছে, তাই গ্রাস করে নিচ্ছে।’

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্য ফায়ার সার্ভিস দফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় আকস্মিক বজ্রপাতের ফলে রাজ্যের লিটন শহরে প্রথম দাবানলের সূত্রপাত হয়। টানা তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে এ পর্যন্ত ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১২০০ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তারা আরও জানিয়েছেন, বেশিরভাগ বজ্রপাত হয়েছে জনবসতির কাছাকাছি এলাকাসমূহে।

এদিকে, কানাডার কেন্দ্রীয় ফায়ার সার্ভিস দফতর জানিয়েছে, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পাশাপাশি দেশটির আলবার্টা রাজ্যেও দাবানলের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

কানাডার জন নিরাপত্তা মন্ত্রী বিল ব্লেইর সিবিসিকে জানিয়েছেন, দাবানল উপদ্রুত এলাকাসমূহের বাসিন্দাদের দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীলা এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন।

এছাড়া, দাবানল নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের দাবানল বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে দেশটির সামরিক ও বিমানবাহীনির সদস্যরাও কাজ করছেন।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএমডব্লিউ