অলিম্পিক শুরুর আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে জাপানের রাজধানী টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়ে বৈশ্বিক এই ক্রীড়া মহাযজ্ঞে দর্শক উপস্থিতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

দুই সপ্তাহ পর আগামী ২৩ জুলাই টোকিও অলিম্পিক শুরু হবে। কিন্তু এর মাঝেই রাজধানী টোকিওতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া নতুন করে করোনার অতি-সংক্রামক ধরন ডেল্টার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা।

প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার দর্শক অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্ট উপভোগের সুযোগ পাওয়ার কথা থাকলেও ক্রমবর্ধমান হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে জাপান সরকার। এর ফলে অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথম রুদ্ধদ্বার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে টোকিওতে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বলেছেন, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের কঠোর লকডাউনের তুলনায় লঘু হবে এই জরুরি অবস্থা; যা আগামী ১২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতার প্রভাব যদি স্পষ্ট হয় এবং হাসপাতালের শয্যা পরিস্থিতিতে উন্নতি দেখা যায়, তাহলে সরকার নির্ধারিত সময়ের আগেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালের দিকে জাপানের ভাইরাস মোকাবিলাবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, রাজধানীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নতুন করে বাড়ছে।

তিনি বলেছেন, মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন দেশে করোনায় আক্রান্তদের প্রায় ৩০ শতাংশের অতি-সংক্রামক ডেল্টা ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

জরুরি অবস্থার আওতায় রেস্টুরেস্ট এবং বারে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা এবং প্রত্যেকদিন রাত ৮টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কনসার্ট এবং কনফারেন্সের মতো বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি রাত ৯টার মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।

অলিম্পিকের আয়োজক কমিটি প্রত্যেকটি ইভেন্টে দর্শক সমাগম নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন। অলিম্পিক আয়োজক কমিটি এবং আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৃহস্পতিবার জাপান সরকারের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই টোকিওতে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।

এসএস