ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটতে চলেছে। এই টিকাকে ছাড়পত্র দিতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন।

চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রাথমিক ভাবে দেশটিতে দু’টি করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড এবং হাদরবাদের ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন। তবে কোভ্যাক্সিন নিয়ে গত কয়েকমাস ক্রমশ বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

বহু মানুষ এই টিকা পেয়েছেন, কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকাটিকে অনুমোদন দেয়নি। ফলে এই টিকা নিয়ে বিদেশ যাওয়ার ছাড়পত্র মিলছিল না। অবশেষে কোভ্যাক্সিন নিয়ে মুখ খুলল ডব্লিউএইচও।

সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, করোনার প্রতিরোধক হিসেবে কোভ্যাক্সিন যথেষ্ট কার্যকর। ডব্লিউএইচও এখনও ছাড়পত্র না দিলেও অচিরেই যে তারা কোভ্যাক্সিনকে তারা স্বীকৃতি দেবে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।

সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সৌম্য জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিনের করোনা প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশ ভালো। তবে করোনার ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ততটা কার্যকরী নয় এই ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের রিপোর্ট তাদের হাতে পৌঁছেছে। সেই রিপোর্ট দেখেই ডব্লিউএইচও-র মনে হয়েছে, এই টিকাটি যথেষ্ট কার্যকরী।’

এর আগে গত ২৩ জুন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে বৈঠক হয় ভারত বায়োটেকের। সেখানেই নিজেদের সকল রিপোর্ট ডব্লিউএইচও-র হাতে তুলে দেয় তারা। পরে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে ভারত বায়োটেক দাবি করে, করোনার উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে ৭৭ দশমিক আট শতাংশ কার্যকর কোভ্যাক্সিন। অতিমাত্রায় উপসর্গ যাদের, তাদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ৯৩ দশমিক চার শতাংশ কার্যকরী। ডেল্টা ধরনের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন কাজ করবে ৬৫ দশমিক দুই শতাংশ।

কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে দ্রুত টিকাদান নিয়েও ভারতকে পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও। দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের টিকাদানের কথা বলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দু’টি টিকার কথা বলা হয়েছে। পরে প্রয়োজনে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।

টিএম