ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। আল-জাজিরা লিখেছে, এতে কয়েক বছর ধরে হিমশীতল সম্পর্কের পর পুরনো মিত্র দেশ দুটির বরফ গলার আভাস মিলছে।

গত দেড় যুগ ধরে তুরস্কের রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে থাকাকালীন ফিলিস্তিনিদের অধিকারের দাবিতে সর্বদা সোচ্চার এরদোয়ান গত শনিবার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা বলার পর ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করলেন।   

ওই আলোচনায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে আশ্বাস দিয়ে এরদোয়ান বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দমন পীড়নের ঘটনায় তুরস্ক কখনো চুপ থাকবে না। পূর্বের মতো ইসরায়েল সর্বদা ফিলিস্তিন ও ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকবে।  

ইসরায়েল এবং তুরস্ক এক সময় ঘনিষ্ঠ আঞ্চলিক মিত্র ছিল। তবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের গত দশ বছরে নানাভাবে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশেষ করে এই সময়ে ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতি নিয়ে তুর্কি সরকার ঘন ঘন সমালোচনা করে আসছে।

এদিকে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের সঙ্গে ওই ফোনালাপে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ককে আবারও ‘অনেক গুরুত্বপূর্ণ’ একটি বিষয় অভিহিত করে তা জোরদারের জোর দিয়েছেন এরদোয়ান।   

মতের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও তুরস্ক আলোচনায় বিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান। এরদোয়ানের কার্যালয়ের এক বিবৃতি অনুযায়ী তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জ্বালানি, পর্যটন ও প্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার দৃঢ় করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এএস