ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য চুক্তির ঘোষণা দেওয়ার এক বছরের কম সময় পর তেল আবিবে দূতাবাস উদ্বোধন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। উপসাগরীয় দেশ হিসেবে আমিরাতই প্রথম ইসরায়েলে দূতাবাস চালু করল।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার তেল আবিব স্টক একচেঞ্জ ভবনে দূতাবাসের উদ্বোধন করা হয়। এর আগে গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিজেদের দূতাবাস উদ্বোধন করেছিল ইসরায়েল।    

আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃতীয় দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তি অনুযায়ী অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর গুরত্ব বেশি থাকার যে শর্ত ছিল, সেই শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের প্রাণকেন্দ্রে দূতাবাসটি উদ্বোধন হলো। 

দূতাবাস উদ্বোধনের ওই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জগ। আমিরাতে রাষ্টদূত মোহাম্মদ আল-খাজা বলেন, ‘দূতাবাসটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ এর উদ্বোধন করেছে।    

তিনি আরও বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েল উভয়ই উদ্ভাবনী দেশ। আমরা আমাদের দেশ ও আমাদের এই অঞ্চলের জন্য আরও সমৃদ্ধ এবং টেকসই ভবিষ্যতের দিকে কাজ করার জন্য এই সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারি।’

আমিরাতি দূতাবাসের উদ্বোধনে উপস্থিত ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হার্জগ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে ইসরায়েলের ‘ঐতিহাসিক চুক্তি’ এর মতো করে ইসরায়েলের সাথে শান্তি চাইছেন এমন অন্যান্য দেশগুলোতেও প্রসারিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গত বছর চারটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে ​চুক্তি করে। হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ নামে পরিচিত। এতে করে আরব বিশ্বের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতির ব্যত্যয় ঘটে।

প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের একটি শান্তিপূর্ণ চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আরব দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে ​না। পরপর চারটি আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে চুক্তি করলে ফিলিস্তিনিরা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন ভূখণ্ড অর্থাৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বপ্নে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ হিসেবে অভিহিত করছে।

এএস