ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে গেলে লাগবে ছাড়পত্র। দিঘার পর দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোর জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করল প্রশাসন। সেখানে বলা হয়েছে, যাদের দুটি টিকা নেওয়া রয়েছে শুধু তারাই পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঢুকতে পারবেন। তাছাড়া ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করোনার নেগেটিভ রিপোর্টও লাগবে।

প্রতি বছরই দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে পর্যটকরা ভিড় জমান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে বিধিনিষেধ থাকায় পর্যটনকেন্দ্রগুলো পর্যটকশূন্য। লকডাউন শিথিল হতেই এসব জায়গায় ভিড় করেছেন পর্যটকরা। 

দার্জিলিংয়ে করোনা সংক্রমণ বেশ কম ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের ওই জেলায়। যার কারণ হিসেবে পর্যটকদের ভিড়কেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় ও পর্যটকদের ভিড় কমাতে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

করোনার ভয় কাটিয়ে যখন একটু একটু করে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন মানুষ, ঠিক ওই সময় প্রশাসনের এমন নির্দেশিকায় হতাশ হয়েছেন পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই। এমন নির্দেশিকায় পর্যটন ব্যবসায় ধসের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে গরুমারা রিসোর্ট মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য জিয়াউর রহমান বলেন, ‘এমনিতেই করোনার কারণে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খারাপ। ধীরে ধীরে করোনার আতঙ্ক কাটিয়ে যখন পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন তখন এই নির্দেশিকায় আমরা হতাশ। অনেকে এখনও দুটো টিকা নিতে পারেননি। অনেকে এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। তাছাড়া বাচ্চাদের টিকা দেওয়া হয়নি। অনেকেই বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে আসেন। সে ক্ষেত্রে বাচ্চাদের করোনা পরীক্ষা করাতে চান না অনেকেই।’

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত দিঘায় পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করায় তাতে রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি করে জেলা প্রশাসন। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, শহরে ঢুকতে গেলে পর্যটকদের নিতে হবে করোনার দুটি টিকা অথবা থাকতে হবে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট। না হলে পা দেওয়া যাবে না দিঘায়।

পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। সেই সঙ্গে সংক্রমণের হারও ১ শতাংশের ঘরে নেমে এসেছে। তবে এখনই ফের লাগামছাড়া হয়ে পড়লে পরিস্থিতি ফের ভায়ানক হয়ে উঠতে পারে সে কথা বার বারই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই পর্যটনস্থলগুলোতে রাশ টানতেই কড়া পদক্ষেপ করছে জেলা প্রশাসনগুলো।

সূত্র : আনন্দবাজার

ওএফ