সিরিয়ার বন্দিশিবিরে হাজার হাজার নারী ও শিশু আটক রয়েছে

ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর পতনের পর সিরিয়ায় বন্দিশিবিরে আটক রাখা জিহাদিদের থেকে ছয় জন নারী ও ১০ জন শিশুকে বিমানে করে বেলজিয়ামে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে আইএসের পতনের পর এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় সন্দেহভাজন সদস্যকে দেশে ফিরিয়ে নিল বেলজিয়াম।

শনিবার (১৭ জুলাই) বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, তিনজন মা ও তাদের সাত ছেলেমেয়ে বেলজিয়ামে ফিরে যাবার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। আই এসে যোগ দেবার জন্য ইউরোপ থেকে সিরিয়ায় যাওয়া শত শত লোক এখন উত্তর সিরিয়ায় বন্দিশিবিরে অবস্থান করছে। এদের মধ্যে নারী এবং শিশুও আছে। এ বন্দিশিবিরগুলো পরিচালনা করছে কুর্দি মিলিশিয়া বাহিনী।

বহু ইউরোপিয়ান দেশই এ শিবিরের বাসিন্দাদের দেশে ফিরতে দেয়নি। তবে বেলজিয়াম বলেছে, তারা অল্পবয়সী ছেলেমেয়েদের ফিরিয়ে আনতে চায়। 

একজন বিদেশি আইএস যোদ্ধা

মনে করা হচ্ছে, উত্তর সিরিয়ার রোজ এলাকায় অবস্থিত শিবিরটি থেকে বেলজিয়ামে ফিরে যাবার পর এই নারীদের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনে অভিযোগ আনা হবে। আর তাদের শিশুদের নেওয়া হবে পরিচর্যা কেন্দ্রে।

বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেক্সাণ্ডার ডি ক্রু মার্চ মাসে বলেছিলেন, এসব ক্যাম্পে ১২ বছরের কম বয়সী যারা আছে তাদের ফিরিয়ে আনতে চান।

সিরিয়ায় ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর পর ৪০০-রও বেশি বেলজিয়ান আইএসে যোগ দিতে সেখানে যায়। ইউরোপের কোনো দেশ থেকে আইএসে যোগ দিতে যাওয়া লোকের এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যা। 

আইএস বন্দিদের আল-হল শিবির পাহারা দিচ্ছে কুর্দি এসডিএফ বাহিনীর সেনারা

ইসলামিক স্টেট এক সময় ইরাক ও সিরিয়ার মোট ৩৪ হাজার বর্গমাইল জায়গা নিয়ন্ত্রণ করত। তবে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে তারা পরাজিত হবার পর বাস্ত্যুচ্যুত হাজার হাজার লোকের সাথে নারী ও শিশুদেরও বিভিন্ন শিবিরে পাঠানো হয়। কিছু ইউরোপিয়ান দেশ তাদের আইএসে যোগদানকারী নাগরিকদের নিরাপত্তাঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করে এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে অনিচ্ছুক। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত ২০১৫ সালে লন্ডন থেকে পালিয়ে আইএসে যোগদানকারী ব্রিটিশ তরুণী শামীমা বেগম- যুক্তরাজ্যের সরকার যার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে।

তবে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি এদের ফিরিয়ে নিতে আবেদন জানিয়ে বলেছে, ক্যাম্পে থাকলে তাদের রোগাক্রান্ত বা উগ্রপন্থায় দীক্ষিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।

এইচকে