যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আইসোলেশনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী রিসি সুনাকও জাতীয় করোনা বিধি মেনে আইসোলেশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে, বরিস জনসনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে প্রধানমন্ত্রী আইসোলশনে না গিয়ে নিয়মিত দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটিতে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। তার কয়েক ঘণ্টা যেতে না যেতেই আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে আইসোলেশনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বরিস।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর এমন এক সময় এসেছে যখন মহামারি সামলানো নিয়ে দেশটির সরকার তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছে। তীব্র সংক্রমণ সত্ত্বেও মন্ত্রীরা ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে আস্থা রাখায় ইংল্যান্ডের প্রায় সব বিধি-নিষেধ সোমবার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। 

সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরনের প্রকোপ আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ১০ দিন ধরে দেশটিতে গড়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষকে স্বেচ্ছা আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

শুক্রবার ব্রিটেনের সরকার এক ঘোষণায় জানায়, প্রধানমন্ত্রী বরিস এবং অর্থমন্ত্রী সুনাক একজন করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন। তবে তারা উভয়ই ট্রায়াল স্কিমের আওতায় স্বেচ্ছা আইসোলেশনে না গিয়ে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবেন।

এ নিয়ে দেশটির ভোটার, রাজনৈতিক বিরোধী এবং ব্যবসায়ীরা তীব্র সমালোচনা করেন। বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা বলেন, জনসন এবং সুনাককে করোনা বিধি-নিষেধ পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া পুরোপুরি ভণ্ডামিপূর্ণ। সমালোচনা শুরু হলে মাত্র তিন ঘণ্টার ব্যবধানে আইসোলেশনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার বাসভবনে আইসোলেশনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন সরকারের এক মুখপাত্র। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্কাই নিউজকে জানিয়েছেন, শুক্রবার ডাউনিং স্ট্রিটে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছিলেন সাজিদ জাভিদ।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে পিসিআর টেস্ট করাতে দিয়েছেন। টেস্টের ফলাফল আসার পর বোঝা যাবে তিনি ঝুঁকিমুক্ত কিনা।’

এসএস