চীনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথমবারের মতো তিব্বত সফরে গিয়েছেন শি জিনপিং। জুলাইয়ের ২১-২২ তারিখ- দুইদিন তিনি তিব্বতে ছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা সিনহুয়া নিউজ।

সিনহুয়া নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি ফ্লাইটে বেইজিং থেকে প্রথমে তিব্বতের নিংচিতে নামেন শি জিনপিং। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে তিব্বতের রাজধানী লাসায় পৌঁছান তিনি।

লাসায় পোটালা প্রাসাদ স্কয়্যার ও এর সংলগ্ন বৌধ সন্ন্যাসীদের আশ্রম পরিদর্শন করেন শি জিনপিং। পাশাপাশি, তিব্বতের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ও নেতৃবৃন্দ ও সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

লাসার পোটালা প্রাসাদ স্কয়্যারের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের আশ্রমের এক সময়কার প্রধান ছিলেন তিব্বতের নির্বাসিত নেতা দালাই লামা, গত শতকের আশির দশকে ‍যিনি চীনের দখল থেকে তিব্বতকে বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন।

বেইজিং বরাবরই দালাই লামাকে ‘বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে আসছে।

দুই দিনের এই সফরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে তিব্বত যেসব পরিবেশবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে, সেসব প্রত্যক্ষ করেন শি। পাশপাশি প্রথাগত ঐতিহ্য সংরক্ষণে তিব্বতের জনগণের সচেতনতা ও আন্তরিকতার প্রশংসাও করেন তিনি।

হিমালয় পর্বতমালাঘেঁষা তিব্বতের সঙ্গে সীমান্ত আছে চীন এবং ভারতের। তবে ১৯৫০ সাল থেকে এই অঞ্চলটি দখল করে আছে চীন।

এই নিয়ে চীনের সঙ্গে একাধিকবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ভারত। এর মধ্যে গত বছরের সংঘাত ছিল ভয়াবহ। সেই সংঘাতে উভয় দেশের বহু সেনা সদস্য হতাহত হয়েছিলেন।

চীনের রাষ্ট্রপতির এই সফরে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ছিলেন চীনের কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ঝ্যাং ইউক্সিয়া এবং চীনের সেনা বাহিনীর একজন জেষ্ঠ্য জেনরেল।

এর আগে ২০১১ সালে একবার তিব্বত সফর গিয়েছিলেন শি জিনপিং। তবে তখন তিনি চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ