দুই দশকের বেশি সময় আগে সর্বশেষ মৃত্যদণ্ড কার্যকরের পর পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ এই দণ্ড বাতিলে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবারের এই ভোটাভুটিতে দেশটির পার্লামেন্টের বেশিরভাগ সদস্য মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলের পক্ষে সর্বসম্মতভাবে ভোট দিয়েছেন।

সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট জুলিয়াস মাদা বায়ো শিগগিরই এই বিলে স্বাক্ষর করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষরের পর বিলটি আইনে পরিণত হলে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলকারী আফ্রিকার ২৩তম দেশ হবে সিয়েরা লিওন। ওই বিলে সাজা ঘোষণার সময় বিচারকদের অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিষয়ে ১৯৯৮ সাল থেকে স্থগিতাদেশ পালন করছে সিয়েরা লিওন। তখন থেকে মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তরা অন্যান্য বন্দিদের থেকে আলাদা কারাগারে বন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। দেশটির মানবাধিকার কর্মীরা ভিন্ন কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের বন্দিজীবনকে ‘অমানবিক’ বলে সমালোচনা করছেন।

সিয়েরা লিওনে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করা হয় ১৯৯৮ সালে। ১১ বছরের গৃহযুদ্ধের পর সেই সময় ফায়ারিং স্কোয়াডে দেশটির সেনাবাহিনীর অন্তত ২৩ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। দুই দশকের বেশি সময় ধরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর স্থগিত থাকলেও রায় ঘোষণা থেমে থাকেনি।

সর্বোচ্চ সাজা বাতিলের বিল পার্লামেন্টে পাস হয়ে যাওয়ার পর রাজধানী ফ্রিটাউনের অ্যাডভোকেসি সংস্থা রিয়ানন ডেভিস অব অ্যাডভোকেইড বলেছে, আমরা ঠিক এটাই চেয়েছিলাম।

আফ্রিকার যেসব দেশ মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলের পক্ষে কাজ করছে সিয়েরা লিওন তাদের অন্যতম। গত এপ্রিলে মালায়ির সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ সাজাকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেন।

দেশটির সর্বশেষ তিনটি প্রশাসন এই মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিলেও গত বছরের জুন পর্যন্ত ডাকাতি, খুনসহ নানা ধরনের অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অন্তত ৯৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস