উভয় নেতা ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদান করছেন বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়

নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ফের হটলাইন চালু করেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া। গত বছরের জুন মাসে পিয়ংইয়ং এই লাইন বিচ্ছিন্ন করেছিল। মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, উভয় দেশের নেতারা পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন এবং সম্পর্ক এগিয়ে নিতে একমত হয়েছেন। এছাড়া গত এপ্রিল মাস থেকে উভয় নেতা ব্যক্তিগত পর্যায়ে কয়েকটি চিঠি আদান-প্রদান করেছেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সম্পর্কের তিক্ততার একপর্যায়ে ২০২০ সালের জুন মাসে উভয় দেশের মধ্যে থাকা হটলাইন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিল উত্তর কোরিয়া। এছাড়া সেসময় একটি আন্তঃকোরিয়ান সীমান্ত অফিসও উড়িয়ে দেয় পিয়ংইয়ং। দুই কোরিয়ার মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে ওই অফিসটি তৈরি করা হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ‘উভয় দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী ২৭ জুলাই সকাল ১০টা থেকে সকল আন্তঃকোরিয়ান যোগাযোগ লাইন চালু করেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া।’

বার্তাসংস্থাটি আরও জানায়, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস স্থাপন এবং সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে একমত হয়েছেন শীর্ষ নেতারা।’

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হটলাইন যোগাযোগ ফের চালুর পর উভয় দেশের প্রতিনিধিরা ফোনে তিন মিনিট কথা বলেছেন। এছাড়া মঙ্গলবার বিকেলে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা আবারও কথা বলবেন এবং এখন থেকে প্রতিদিন একবার করে কথা বলবেন তারা।

উত্তরের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলার পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি জানান, ‘এক বছর পর ফের কথা বলতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। আমরা আশা করি... এই ধরনের উদ্যোগ কোরীয় জনগণের জন্য সুখবর বয়ে আনবে।’

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিনের বৈরীতার পর ২০১৮ সালে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতি হয়। ওই বছর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন নিজেদের মধ্যে তিনবার বৈঠক করেছিলেন।

কিন্তু তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিম জং উনের দ্বিতীয় বৈঠকের পর দ্রুততার সঙ্গে সিউল-পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়।

টিএম