করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ইসরায়েলের জনগণকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮ টি দেশ ভ্রমণে সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি, এসব দেশ থেকে ইসরায়েলে আসা যাত্রীদের নির্দিষ্ট সময় কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করেছে ইসরায়েলের সরকার। বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আরও যে ১৭ টি দেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশসমূহ হলো ফ্রান্স, ইতালি, আইসল্যান্ড ও গ্রিস।

মঙ্গলবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮ টি দেশে ভ্রমণের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো কারণ ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করতে জনগণকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’

‘তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮ টি দেশের যেসব নাগরিক ইসরায়েলে আসতে ইচ্ছুক বা আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ইসরায়েলে এলে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে থাকতে হবে। কোনো যাত্রী যদি টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেন কিংবা করোনা নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন করেন, সেক্ষেত্রেও এই আদেশ প্রযোজ্য হবে।’

২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসেবে বিশ্বের দেশ সমূহের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাহমারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ ৪৯ হাজার ১৫ জন এবং মারা গেছেন মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার ৪৯৭ জন।

গত কয়েক মাস মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকার পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে ফের দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যু বাড়তে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রে। মঙ্গলবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৭৫৮ জন এবং এ রোগে এ দিন মৃত্যু হয়েছে ৫১৬ জনের।

মার্কিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে দৈনিক আক্রান্ত-মৃত্যুর উল্লফন ঘটেছে।

অন্যদিকে বিশ্বের যেসব দেশসমূহ ব্যাপক টিকাদান ও কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ইসরায়েল। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটি মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি করোনা টিকার ‍দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ