জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে বার্মিজ ২ নাগরিককে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের দূত খিয়াও মোয়ে তুন দেশটির বর্তমান জান্তা সরকারের একজন তীব্র সমালোচক এবং তাকে হত্যা বা কমপক্ষে আহত করার জন্য এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিকল্পনা সাজাচ্ছিলেন অভিযুক্তরা। শুক্রবার (৬ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্র এ তথ্য জানায়।

এদিকে শনিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে অভিযুক্ত ওই ২ বার্মিজ নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য থেকে আটক করা হয়। মিয়ানমারের দূত খিয়াও মোয়ে তুনকে হত্যায় তারা থাইল্যান্ডের এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে চক্রান্ত করেছিলেন। অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি করে থাকেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির বেসামরিক সরকার। ক্ষমতাচ্যুত হলেও জাতিসংঘে এই সরকারেরই প্রতিনিধিত্ব করেন খিয়াও মোয়ে তুন। গত বুধবার তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তার নিরাপত্তা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নির কার্যালয় শুক্রবার জানায়, জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগে আটককৃত ওই দুই বার্মিজ নাগরিক হচ্ছেন- ২৮ বছর বয়সী ফিও হেইন তুত এবং ২০ বছর বয়সী ইয়ে হেইন জাউ। তাদের উভয়ের বিরুদ্ধেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি কর্মকর্তার ওপর হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে। আইন অনুযায়ী অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেননি খিয়াও মোয়ে তুন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পরপরই জাতিসংঘে নিযুক্ত দূত খিয়াও মোয়ে তুনকে বরখাস্ত করে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে এরপরও তিনি জাতিসংঘে তার দায়িত্ব পালন করছেন। কারণ মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি জাতিসংঘ।

টিএম