টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়িয়ে করোনা মহামারি মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। কিন্তু এতেও কাজ হচ্ছে না। করোনার তৃতীয় দফায় প্রকোপে টানা দ্বিতীয়দিন প্রাণহানির রেকর্ড হয়েছে। রাশিয়ায় এর আগে কখনো একদিনে এত মৃত্যু হয়নি।   

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রাশিয়ায় শুক্রবার কোভিড আক্রান্ত ৮১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি নিয়ে দেশটিতে মোট প্রাণহানি ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৪; যা ইউরোপে সর্বোচ্চ। এছাড়া আরও ২২ হাজারের বেশি সংক্রমণের পর মোট আক্রান্ত ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার ছাড়িয়েছে। 

রাশিয়ার কারো মৃত্যু হওয়ার পর ময়নাতদন্তে যদি তার দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয় তাহলে সেটি তালিকাভূক্ত হয়। এজন্যই রাশিয়ার পরিসংখ্যান সংস্থা রোস্টাটের ধারণা, গত জুন পর্যন্ত রাশিয়ায় করোনাভাইরাসের কারণে তিন লক্ষাধিক প্রাণহানি হয়েছে। 

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর দিক থেকে রাশিয়া বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। গত জুনের মাঝামাঝি থেকে দেশটিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। নতুন করে এই প্রকোপ ছড়াচ্ছে ভাইরাসটির অতিসংক্রামক ধরন ডেল্টার কারণে।

নতুন করে প্রকোপের মধ্যে নতুন এক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে রাশিয়ায়। অনেকে টিকা নিয়ে সন্দেহবাতিক। তারা টিকা নিতে চাচ্ছেন না। এ সপ্তাহে লেভাডা সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের করা জরিপে দেখা যাচ্ছে, ৫৫ শতাংশ রাশিয়ানের টিকা নেওয়ার পরিকল্পনা নেই।

মানুষের অনীহা দূর করে টিকা নিতে বাধ্য করার জন্য রাশিয়ায় করোনা প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র রাজধানী মস্কো এবং আরও কিছু অঞ্চলে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন টিকা নেওয়ার জন্য বারবার মানুষকে আহ্বান জানাচ্ছেন।  

রাশিয়া স্থানীয়ভাবে তৈরি তিনটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। অথচ শুক্রবার পর্যন্ত দেশটির মোট  ১৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র তিন কোটি মানুষ টিকা নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। এ কারণেই সরকারের পক্ষ থেকে টিকা বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এএস