আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ঢুকে পড়ার মাধ্যমে ক্ষমতার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিদ্রোহীগোষ্ঠী তালেবানের প্রতি দেশের মানুষের জানমাল রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। ইসলামের বিধি-বিধান মেনে মানুষের জীবন, সম্পত্তি এবং নিরাপত্তা রক্ষার এই আহ্বান জানানো হয়েছে সোমবার।

ইসলামের আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগান জনগণ কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই যা বেছে নেবে সৌদি আরব তার প্রতি সমর্থন জানায়।

‌‌‘সৌদি আরব প্রত্যাশা করে যে, ইসলামের মহান নীতির ওপর ভিত্তি করে আফগানদের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, জীবন এবং সম্পত্তি রক্ষায় কাজ করবে তালেবান আন্দোলন।’

খুব শিগগিরই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। তালেবানের ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত্র আফগানিস্তানের হাজার হাজার মানুষ মরিয়া হয়ে দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে জড়ো হয়েছেন। সোমবার সেখানে হুড়োহুড়ি করে বিমানে উঠতে গিয়ে অন্তত পাঁচ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।

এদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলের আরেক দেশ কাতার বলেছে, তারা আফগানিস্তানে শান্তিপূর্ণ রূপান্তর দেখতে চায়। দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও দেশের কূটনীতিক এবং বিদেশি কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলেও জানিয়েছে দোহা।

কাবুলের সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার জন্য ২০১৩ সাল থেকে দোহায় তালেবান একটি রাজনৈতিক অফিস প্রতিষ্ঠা করে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে দোহা কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
 
সূত্র: রয়টার্স।

এসএস