নতুন করে মাত্র একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এই ঘোষণা দেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই প্রথম দেশটিতে স্থানীয়ভাবে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটল।

মঙ্গলবার আরডার্ন বলেন, করোনা শনাক্ত ব্যক্তিটি ভাইরাসের অতিসংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এর জিনোম সিকুয়েন্সিং এখনও চলছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শহর অকল্যান্ডে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ৫৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি করোনার টিকা নেননি।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড মঙ্গলবার জানান, ভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি দেশের বিভিন্ন অংশে ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু তিনি সীমান্ত পার হয়েছেন এমন কোনো তথ্য নেই।

সিএনএন জানিয়েছে, মঙ্গলবার একজনের দেহে করোনা শনাক্তের পর সঙ্গে সঙ্গে নিউজিল্যান্ডে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এই কঠোর লকডাউন আগামী তিন দিন চলবে। এসময় সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে ঘরে অবস্থান করতে হবে এবং সকল অফিস বন্ধ থাকবে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য সুপারমার্কেট ও ফার্মেসি ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।

সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে কমপক্ষে তিন দিনের জন্য এবং অকল্যান্ড ও করোম্যান্ডেলে চার থেকে সাত দিনের জন্য ‘লেভেল-ফোর’ লকডাউন চলবে। নিউজিল্যান্ডে ‘লেভেল ফোর’ লকডাউনের সর্বোচ্চ স্তর।

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় খুব ভালো সফলতা দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘লেভেল ফোর’ এর লকডাউন দেওয়া হয়নি। তবে মাত্র একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর অনেকটা বাধ্য হয়েই কঠোর লকডাউনে গেল দেশটি।

টিএম