পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন। গত শুক্রবার (২০ আগস্ট) দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় একটি গ্রামে বন্দুকধারীরা হামলা চালালে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চলতি বছর নাইজারের ওই অঞ্চলে বন্দুকধারীরা একের পর এক হামলা চালিয়েছে এবং বেসামরিক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। সর্বশেষ এই হামলা ও নিহতের ঘটনাটি তারই একটি উদাহরণ।

শনিবার স্থানীয় মেয়র হালিদো জিবো বার্তসংস্থা রয়টার্সকে জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বন্দুকধারীরা নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তিল্লাবেরি অঞ্চলের থেইম গ্রামে হামলা করে এবং ১৬ জনকে হত্যা করে।

আলজাজিরা জানিয়েছে, দেশটির একটি নিরাপত্তা সূত্র হামলার কথা নিশ্চিত করেছে এবং নিহতের সংখ্যা ১৭ বলে জানিয়েছে।

এর আগে গত সোমবার ওই একই অঞ্চলের অন্য একটি গ্রামে হামলা চালিয়ে ৩৭ জন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। নিহততের মধ্যে ১৪ জন শিশুও ছিল।

নাইজারের পশ্চিমের তিল্লাবেরি অঞ্চলে এর আগের হামলাগুলোর জন্য স্থানীয় কর্মকর্তারা ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক গোষ্ঠীকে দায়ী করেছিল। গত জানুয়ারিতে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় সেখানকার অন্তত ১০০ বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারান।

তিল্লাবেরির সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে প্রতিবেশী দেশ মালির। ইসলামপন্থি মিলিশিয়ারা এই অঞ্চলকে কেন্দ্র করেই তাদের তৎপরতা চালিয়ে আসছে। যার কারণে সহিংসতা ছড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী দুই প্রতিবেশি দেশেও। যা পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য শঙ্কার।

এর আগে নাইজারের জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। তবে চলতি বছর স্থানীয় জাতিগত সংঘাত ও দ্বন্দ্বে গোষ্ঠীগুলো ক্রমশ বেশি করে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে আরও বেশি সহিংসতা দেখা দিয়েছে।

টিএম