তালেবানদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করলেন এক আফগান নারী। কাবুল থেকে পালিয়ে আসা ওই আফগান নারী পুলিশকর্মী তুলে ধরেছেন বর্বরতার চিত্র। তার ভাষ্য, মৃতদেহও ধর্ষণ করে তালেবানরা।

১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালেবান। এরপর থেকেই নারীদের ওপর বর্বর অমানুষিক অত্যাচারের একের পর এক ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। কর্মক্ষেত্র থেকে নারীদের বিতাড়িত করা, পোশাক নিয়ে ফতোয়ার জেরে খুন ও ধর্ষণের ঘটনা সে দেশে ঘটেই চলেছে। এমন সংকটকালে কাবুল থেকে দিল্লিতে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন মুসকান নামের এক আফগান নারী পুলিশকর্মী। দিল্লি পৌঁছনোর পর একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে নিজের চোখে দেখা ভয়ংকর অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন তিনি। আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশ তালেবানদের দখলে চলে যাওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন প্রাণ বাঁচাতে হলে আর দেশে থাকা যাবে না।

নারীদের প্রতি তালেবান কতটা নৃশংস, সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে মুসকান জানান, প্রতিটি বাড়ি থেকেই অন্তত একজন নারীকে তালেবানরা তুলে নিয়ে যায়। তাদের ধর্ষণ করে খুন করে তারা। তাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছে, যারা আবার মৃতদেহগুলোকে ধর্ষণ করে আনন্দ পায়। পরিবারের নারীরা যদি উপার্জন করেন, তাহলে তাদের লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হয়। প্রথম হুমকিতে কাজ না হলে আর দ্বিতীয় কোনো সুযোগ দেয় না তারা। প্রথম হুমকির পরও যদি সেই নারীকে বাড়ির বাইরে দেখা যায়, তখনই তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। সম্প্রতি এমন এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যায়, বাইরে বের হওয়া মধ্যবয়সী এক নারীকে মাথায় গুলি করে খুন করে এক তালেবান নেতা। শুধু নারীরা নন, তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না পুরুষরাও। ‘ইসলাম মতে’ পোশাক বা দাড়ি না রাখলে যুবকদের মার খেতে হচ্ছে তালেবানের হাতে।

এদিকে আফগানিস্তানে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে তালেবানের বিরুদ্ধে। পঞ্জশির উপত্যকায় আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে আফগান বিদ্রোহীরা। জেহাদিদের রুখে দিতে গঠন হয়েছে ‘নর্দার্ন অ্যালায়েন্স’। ইতোমধ্যে পঞ্জশিরে যুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসএসএইচ