আফগানিস্তান এমনিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত। তালেবানের ক্ষমতা দখলে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যেই তীব্র খরার মুখে পড়েছে ৭০ লাখ কৃষক। তাদের জন্য জরুরি মানিবক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা। 

শুধু যুদ্ধ, তালেবান কিংবা পশ্চিমা সেনা নয় আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষকে মহামারি কোভিডের প্রকোপ সামাল দিতে হচ্ছে। তালেবানের ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহ পার হলেও সরকার নেই। অর্থনীতির স্থবির। নিত্যপ্রয়োজনী পণ্যের দামও আকাশচুম্বি। 

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, আফগানিস্তানে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ কিংবা প্রতি তিন জন আফগানের একজন মারাত্মক খাদ্য সংকটে ভুগছেন, তাদের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। এর মধ্যে ৭০ লাখ পড়েছেন তীব্র খরার কবলে।

এফএও পরিচালক কু দোংগিউ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘খরার প্রভাব মোকাবিলা ও আগামীতে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রধান অস্ত্র হলো জরুরিভিত্তিতে দেশটির মানুষকে কৃষি সহায়তা দেওয়া।’ 

গত তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মত এমন তীব্র খরার মুখে পড়েছে আফগানিস্তান। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ জানিয়েছিল, তাদের গমের আটা আগামী অক্টোবরের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে। তাই এসব মানুষকে সাহায্যে জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, ‘যদি আমরা তীব্র খরা দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সাহায্য করতে না পারি, তাহলে বিপুলসংখ্যক মানুষজন আবাদ বন্ধ করতে বাধ্য হবে। বাস্তুচ্যুত হবে অনেকে; যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য আরেকটি হুমকি।

এএস