অক্টোবরে শিথিল হচ্ছে সিডনির লকডাউন
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলস ও তার রাজধানী সিডনিতে আগামী মাস থেকে লকডাউন শিথিল করা হবে। বৃহস্পতিবার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্য সরকার এই তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ শহরের নাম সিডনি। দেশটির প্রায় আড়াই কোটি জনগণের এক পঞ্চমাংশের বাস এই শহরে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৭০ শতাংশের টিকার ডোজ সম্পূর্ণ হবে। আর এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছালেই শিথিল করা হবে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সিডনিতে গত তিন মাস ধরে চলা কঠোর লকডাউন।
লকডাউন শিথিল করা হলে জিমন্যাসিয়াম, জাদুঘর, সিনেমা হল, পানশালা, সুপার মার্কেট ও খুচরা দোকান, স্টেডিয়াম, সেলুন, রেস্তোঁরা, ধর্মীয় উপাসনালয়- সব খুলে দেওয়া হবে। তবে টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা মানুষজনই কেবল এসব স্থানে যেতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বর্তমানে নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যে টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশ এবং টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন ৭৫ শতাংশ।
অক্টোবরের কোন তারিখ লকডাউন শিথিল করা হবে- তা নির্দিষ্ট করা হয়নি বৃহস্পতিবারের বিবৃতিতে। তবে বলা হয়েছে, আগামী মাসের প্রথম সোমাবারের মধ্যে নিউ সাউথ ওয়েলসে টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করা প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের হার ৭০ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, ওই দিন থেকেই স্বাভাবিক জীবনে প্রবেশ করা শুরু করবে রাজ্যের জনগণ।
তবে স্কুল খুলে দেওয়ার দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে বিবৃতিতে। ২৫ অক্টোবর খুলে দেওয়া হবে নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুলগুলো।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এতদিনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় তা বেশ সফল ভাবেই মোকাবিলা করে আসছিল অস্ট্রেলিয়া, কিন্তু গত জুনে করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ডেল্টার প্রভাবে দেশটিতে বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ।
অস্ট্রেলিয়ার ৬ টি রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে ঘণবসতিপূর্ণ রাজ্য নিউ সাউথ ওয়েলসে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বুধবার সেই রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫’শ মানুষ।
দৈনিক সংক্রমণে লাগাম টানতে গত জুলাই থেকে টানা লকডাউনে আছে নিউ সাউথ ওয়েলস।
নিউ সাউথ ওয়েলসের মুখ্যমন্ত্রী গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লেইন সম্প্রতি বলেছেন, রাজ্যের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হলে করোনার সঙ্গে সহাবস্থান রাজ্যবাসী শিখে যাবেন।
সূত্র : বিবিসি
এসএমডব্লিউ