ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোর বিষয়ে দ্রুত এবং বিশদ তদন্তের দাবি জানিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিশর। 

কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক থেকে এ দাবি তোলা হয়েছে। চার দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠকে অভিযোগ তোলা হয়েছে, ইরানের বিভিন্ন নীতি বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরুপ। এ ধরনের নীতি থেকে  ইরানকে কিভাবে থামানো যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। 

বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান। মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে ইরানের হস্তক্ষেপ কিভাবে ঠেকানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে ইরান অর্থায়ন করছে বলে অভিযোগ তুলে তা কিভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়েও আলাপ হয় বৈঠকে। 

জাতিসংঘের পরমাণু তদারক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক অ্যানার্জি এজেন্সিকে (আইএইএ) অতীতে তাদের পর্যবেক্ষণ কাজে ইরান বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সম্প্রতি দেশটির সমালোচনা করেছে সংস্থাটি। 

আইএইএ এক প্রতিবেদনে বলছে, ইরান সম্পর্কিত তদন্তে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। একটি হলো পুরোনো কিছু  পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়ামের অস্তিত্বে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। আর একটি হলো- ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে যাতে দৃষ্টি রাখা যায় সে জন্য কিছু পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম ব্যবহারের অনুমতি পাওয়া যায়নি। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বুধবার ইরানকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়টি ভেবে দেখার কথা চিন্তা করছে, তবে ইরানের এ চুক্তিতে ফেরার সময় ফুরিয়ে আসছে। 

তবে আগস্টে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছিলেন দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা কম। 

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তির আওতায় ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল, তবে এর জন্য দেশটির ওপর আরোপিত নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর জবাবে ইরান তার সীমিত করা পারমাণবিক কার্যক্রম আবার পুরোদমে চালু করে।   

সূত্র : আরব নিউজ। 

এনএফ