আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের দখলে যাওয়ার এক মাসের কম সময়ের মধ্যে রাবিয়া জামাল কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন— কট্টরপন্থীদের ভয় দূরে ঠেলে সাহস নিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে কাজে ফিরেছেন তিনি।

ইসলামপন্থী এই গোষ্ঠী নারীদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় পরিষ্কার ঝুঁকি ছিল; কিন্তু তিন সন্তানের মা ৩৫ বয়সী রাবিয়ার কাজে ফেরা ছাড়া বিকল্প খুব বেশি ছিল না। নেভি-ব্লু রঙের স্যুট পরিহিত মেকাপে পরিপাটি রাবিয়া বলেন, ‘পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমার অর্থের প্রয়োজন।’

ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‌‘আমি বাড়িতে চিন্তিত ছিলাম... আমার খুব খারাপ লেগেছিল। এখন আমি ভালো বোধ করছি।’

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের আগে পর্যন্ত রাজধানীর ওই বিমানবন্দরে ৮০ জনের বেশি নারী কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র ১২ জন বর্তমানে কাজে ফিরেছেন। রাজধানীতে যে অল্প কয়েকজন নারী কর্মক্ষেত্রে ফেরার অনুমতি পেয়েছেন তাদের কয়েকজন ওই ১২ জন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা ফিরে যেতে পারবেন না বলে তাদের জানিয়েছিল তালেবান।

শনিবার কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মূল ফটকে ছয়জন নারী কর্মী দাঁড়িয়ে ছিলেন। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের নারী যাত্রীদের শরীর স্ক্যান এবং তল্লাশির অপেক্ষায় তারা একে অপরের সঙ্গে খোশগল্প ও হাসিঠাট্টা করছেন।

রাবিয়ার ৪৯ বছর বয়সী বোন কুদসিয়া জামাল এএফপিকে বলেন, তালেবানের ক্ষমতা দখল তাকে ‘হতবাক’ করেছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ও পাঁচ সন্তানের এই মা বলেন, আমি খুবই ভয় পেয়েছিলাম।

‘আমার পরিবারও আমাকে নিয়ে ভয়ে ছিল। তারা আমাকে ফিরতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু এখন আমি খুশি, নিশ্চিন্ত... এখন পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।’

এসএস