ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ফের করোনা টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার কোভ্যাক্সিন না পাঠানোয় সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শহরটিতে টিকাদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মজুত তলানিতে ঠেকেছে কোভিশিল্ডেরও। তবে তা সত্ত্বেও ১০৫টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ১৭টি মেগাসেন্টার থেকে কোভিশিল্ড দেওয়া হবে।

রোববার রাতে কলকাতা পৌরসভার প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুব্রত রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার কোভ্যাক্সিন না পাঠানোয় শহরের ৩৯টি ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য এই টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফের কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ এলে টিকাদান শুরু হবে।’

কলকাতা পৌরসভার বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কোভিশিল্ডের মজুতও তলানিতে এসে পৌঁছেছে। যে পরিমাণ কোভিশিল্ড টিকা মজুত আছে তা দিয়ে মাত্র একদিন টিকা দেওয়া যাবে। যদি সোমবার রাতের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার কোভিশিল্ডও না পাঠায় তা হলে মঙ্গলবার থেকে অক্সফোর্ডের আবিষ্কৃত এই টিকাটিও দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

এদিকে পুজার আগে কলকাতায় ফের ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে করোনার সংক্রমণ। এমন একটা সময়ে কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নমুনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের ওপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে মানুষকে নিরাপদ রাখতে টিকাদানই একমাত্র উপায়। কিন্তু সেই টিকার অভাব ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।

ভারতীয় সংবাদমাধমগুলো বলছে, বহু মানুষ রয়েছেন যাদের টিকার একটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। যারা কোভ্যাক্সিন নিয়েছিলেন তারা বিপাকে পড়বেন। কারণ প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা একটি নির্দিষ্ট টিকারই দু’টি ডোজ নিতে পরামর্শ দিয়ে এসেছেন।

আর তাই যারা দ্বিতীয় ডোজ এখন পাবেন না তারাই মূলত সমস্যায় পড়বেন। অনেকেরই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার কথা। কিন্তু কোভ্যাক্সিন টিকাদান বন্ধ হওয়ায় তারা সমস্যার সম্মুখীন হবেন। কারণ কোভ্যাক্সিনের জোগান না আসা পর্যন্ত টিকা নিতে পারবেন না বহু মানুষ।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কলকাতা পৌরসভা প্রায় ৫০ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও আগের চেয়ে সংক্রমণের দৈনিক হার বাড়ছে। আর এতেই বাড়ছে উদ্বেগ।

টিএম