করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী সবাইকে করোনা টিকার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। শিশুরা করোনা টিকা নিলে তাদের শিক্ষা কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্ন হবে এবং তারা উপকৃত হবেন; সোমবার দেশটির প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এমন ঘোষণা দেওয়ার পরই সরকার সবাইকে টিকার আওতায় আনার কথা জানায়।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের চারটি জাতির সকল প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তার (সিএমও) কাছ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশ আসার পর ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিশুকে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সরকার।

যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘অল্প বয়সীদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা, স্কুলে সংক্রমণ কমিয়ে আনা এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে রাখতে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের টিকার আওতায় আনার ব্যাপারে সকল প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা সুপারিশ করেছেন এবং আমি সেটি গ্রহণ করেছি।’

রয়টার্স বলছে, ইংল্যান্ডে আগামী সপ্তাহ থেকে টিকা দেওয়ার এই কাজ শুরু হবে। তবে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়ন করবে। যদিও সকল প্রশাসনই তাদের নিজ নিজ প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তার কাছ থেকে একই সুপারিশ পেয়েছেন।

ব্রিটেনে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীরা তাদের প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা পাবেন। এছাড়া একই বয়স সীমায় থাকা ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদেরকে ইতোমধ্যেই এই টিকা দেওয়ার ব্যাপারে অনুমোদন রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ বেশ আগে থেকেই অল্পবয়সীদেরকে আরও বেশি করে টিকার আওতায় এনেছে। ফলে সেসব দেশকে অনুসরণ করার বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের ওপর চাপ রয়েছে।

ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা (সিএমও) ক্রিস হুইটি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ‘শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্নতা কমিয়ে আনবে করোনা টিকা।’

তিনি আরও বলছেন, ‘আমরা মনে করি না যে, করোনা টিকা কোনো মহাঔষধ। করোনাকে পরাজিত করার একমাত্র কোনো ওষুধও নেই। কিন্তু আমরা মনে করি যে, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে এবং শিক্ষা কার্যক্রমকে নির্বিঘ্ন রাখতে টিকা উপকারী বস্তু।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত এক লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। দেশটিতে ১৬ বছরের বেশি বযসী ৮১ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার উভয় ডোজ পেয়েছেন। যদিও দেশটির টিকাদান কর্মসূচিতে এখন অনেকটাই ধীরগতি নেমে এসেছে।

টিএম