চুক্তি ছাড়া আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দায়িত্ব নেবে না বলে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছে কাতার। দোহার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে তালেবানসহ জড়িত সব পক্ষের অংশগ্রহণে ‘স্পষ্ট’ একটি চুক্তি চায় তারা। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির। 

গত মাসে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর আফগানিস্তানে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে কাতার। আফগানিস্তানে থাকা বিদেশিসহ তাদের আফগান সহযোগীদের উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তার পাশাপাশি দেশটি তালেবানের নতুন শাসকদের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং কাবুল বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করেছে।    

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল-থানি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সবকিছুই স্পষ্টভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। অন্যথায়, আমরা বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে পারছি না (যদি) এই সমস্ত বিষয়গুলোর সমাধান না করা হয়। বর্তমানে এসব নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে।’  

যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের অবস্থা ছিল বিপর্যস্ত। বিমানবন্দরটি সচল করতে সবার আগে এগিয়ে আসে কাতার। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাবুলে উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্তির পর সর্বপ্রথম কাতার এয়ারওয়েজের বিমানে ত্রাণ পৌঁছায় কাবুলে। কয়েক দফায় বিদেশি নাগরিক ও অন্যান্যদেরও উদ্ধার করা হয়। 

উদ্ধার কার্যক্রম চলাকালীন বিমানবন্দরের দায়িত্ব তুরস্ককে দেওয়ার আলোচনা ওঠে। আঙ্কারাও শর্ত দিয়ে বিমানবন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহের কথা জানায়। কিন্তু বিদেশি সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ার পর বিমানবন্দর পরিচালনায় কারিগরি দল পাঠায় দোহা। সচল করা নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা চলমান।    

এএস