আফগানিস্তানের নতুন তালেবান শাসকদের সঙ্গে আলোচনা করা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাতে আর কোনো উপায় নেই। কাবুলে কূটনৈতিক উপস্থিতির ব্যাপারে দেশটির নতুন সরকারের সদস্যদের সঙ্গে ব্রাসেলস সমন্বিতভাবে আলোচনার চেষ্টা করবে। মঙ্গলবার ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টে (ইপি) এ মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেফ বোরেল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল মঙ্গলবার ফ্রান্সের স্ট্র্যাসবার্গে ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টকে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান সংকট এখনো কাটেনি। সেখানকার ঘটনাগুলোর ওপর প্রভাব রাখতে চাইলে তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় বসা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই।’  

গত ১৫ আগস্ট কাবুলে ঢোকার মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এরপর ইইউ জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আফগানিস্তানে পুনরায় মানবিক সহায়তা চালু করা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মানবাধিকার রক্ষা বিশেষ করে নারী অধিকারের ওপর সম্মান জানানোর শর্ত জুড়ে দিয়েছেন।’    

জোসেফ বোরেল বলেছেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা মানে নিশ্চিতভাবেই তাদের বিরোধিতা করা কিন্তু এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারি। ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আফগানরা যে ইউরোপে আসার চেষ্টা করছে সেটা মোকাবিলা করার জন্য জোটের প্রস্তুত থাকা উচিত।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ইউরোপে যেভাবে শরণার্থীর ঢল নেমেছিল পরিস্থিতি তেমন না হলেও তালেবানরা আফগানদের দেশত্যাগের অনুমতি দিলে অনেকে ইউরোপে আসতে চাইবেন বলে মনে করছেন বোরেল। তবে শরণার্থী নিয়ে নতুন একটি সংকটের ব্যাপারে ইইউ’র সতর্ক হওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি। 

বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ায় কাবুল থেকে উদ্ধার হওয়া ৩০ হাজার আফগানকে ইউরোপে নেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয়ান কমিশন এসব আফগান শরণার্থীর জন্য জোটভুক্ত সরকারগুলোর কাছ থেকে ৩৩৫ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। যে তহবিল দিয়ে এসব আফগানকে পুনর্বাসিত করা হবে।   

এএস