ভারতের দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল বলছে তারা জঙ্গিদের বড়সড় একটি নাশকতার ছক বানচাল করেছে। রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে  অভিযান চালিয়ে ছয় জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর এমন দাবি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।  

পুলিশ অনুমান করছে, যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের কাজে লাগানোর পেছনে দাউদ ইব্রাহিমের তৈরি ডি কোম্পানির হাত রয়েছে। দেশটির গোয়েন্দা সূত্রের দাবি ডি কোম্পানির ওপর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের চাপ রয়েছে।      

ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ছোটা শাকিল এবং দাউদ ইব্রাহিমের ভাই আনিস ইব্রাহিমকে ভারতে কিছু করতে চাপ দিচ্ছিল আইএসআই। চাপের মুখে আনিস ওই চক্রের জন্য লোক নিয়োগ শুরু করে। এমনকি ২৬/১১ হামলার মতো এবারও হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের।   

তবে নিউজ এইট্টিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছোটা শাকিল বলছেন, যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের সঙ্গে ডি কোম্পানির কোনো যোগাযোগ নেই। পুলিশের সমস্ত অভিযোগকে ভুল ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

ছোটা শাকিল বলেন, ‘গোয়েন্দাদের উচিত, সঠিকভাবে তদন্ত করা এবং এর পিছনে থাকা প্রকৃত লোকেদের খুঁজে বের করা। প্রত্যেকবার ওরা কাউকে গ্রেফতার করে এবং আমাদের দিকে আঙুল তোলে। আগে ব্যাপারটার তদন্ত করা উচিত।’

আইএসআইয়ের দিক থেকে চাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনাদের এজেন্সি দুর্বল। তারা ঠিকভাবে তদন্ত করছে না। যখন আপনাদের এজেন্সির হাতে আর কিছু প্রমাণ না থাকে, তখন তারা আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়।’

মঙ্গলবার যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলা হচ্ছে তাদের মধ্যে এমন দুজন রয়েছেন যারা পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

ভারতীয় পুলিশ ধারণা করছে নবরাত্রি এবং অন্যান্য উৎসবের দিনগুলোতেই নাশকতার ছক কষা হচ্ছিল। সেক্ষেত্রে বহু প্রাণহানি হতে পারতো। তার আগেই জঙ্গিদের ধরে ফেলেছে পুলিশ।  

এনএফ