২০২২ সাল শেষ হওয়ার আগে বিশ্বের ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনা নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো ও টিকার ডোজ প্রদানসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ বিষয়ক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে দেশটির পক্ষ থেকে। সেই প্রস্তাবের লিখিত খসড়ার একটি অনুলিপি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের হাতে এসেছে।

তিন পৃষ্ঠার ওই খসড়ায় বলা হয়েছে, বিশ্বের অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টিকা সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশসমূহ ইতপূর্বে ২০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, তাতে আরও ১০০ কোটি ডোজ যুক্ত করা হবে। এই প্রতিশ্রুত ডোজগুলো যেন দ্রুত উপদ্রুত দেশগুলোতে পৌঁছায় সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে খসড়ায়।

পাশপাশি, টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা ও সহায়ক উপকরণ ক্রয় করতে দরিদ্র দেশগুলোকে ২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হবে। ২০২২ সালের শেষ হওয়ার আগে এই আর্থিক সহায়তার পরিমাণ পৌঁছাবে ৭০০ কোটি ডলারে।

এই সহায়তার একটি বড় অংশ ব্যয় হবে করোনা টেস্ট এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) খাতে।

তাছাড়া দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তরল অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়াতে ২০০ কোটি এবং করোনার ওষুধ ক্রয়বাবদ ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রদানে মিত্রদের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উপদ্রুত দেশগুলোকে দেওয়া হবে ১০০ কোটি করোনা টেস্ট কিটও।

হোয়াইট হাউসের উপপ্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক এই পরিকল্পনা সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন; কিন্তু এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে অপারগতা জানিয়েছেন তিনি।

তবে এই সংবাদ সর্বপ্রথম যে সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছিল, সেই নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এ বিষয়ে বৈঠকের আহ্বান জানিয়ে গত সপ্তাহেই মিত্র দেশসমূহকে চিঠি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

আগস্টে আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা বৈশ্বিক নেতাদের টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়াতে তাগিদ দিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যেখানে উন্নত দেশগুলোর মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার প্রায় ৫০ শতাংশ করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছেন, সেখানে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে এই হার ২ শতাংশেরও কম।

যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত মোট প্রতিশ্রুত টিকার ডোজের মাত্র ১০ শতাংশ পৌঁছেছে  আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে।

সূত্র : রয়টার্স

এসএমডব্লিউ