সাত বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীর চুল জোরপূর্বক কেটে দেওয়ায় শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। মামলায় তিনি অভিযোগ করেছেন, তার মেয়ের সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষী আচরণ করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের মাউন্ট প্লিসেন্ট হাই স্কুলে ঘটেছে এই ঘটনা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তাসংস্থা এপির বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম জুরনি হফমেয়ার। তার বাবা জিমি হফমেয়ার এপিকে বলেন, গত এপ্রিলে জুরনি স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় তিনি লক্ষ্য করেন, তার মেয়ের মাথার একপাশের চুল কাটা। তিনি এ ব্যাপারে মেয়েকে প্রশ্ন করলে সে উত্তরে বলে, স্কুলবাসে করে বাড়ি ফেরার পথে তার স্কুলের এক বন্ধু দুষ্টুমি করে এই কাজ করেছে।

জিমি বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম এটা বাচ্চাদের মধ্যকার একটা ব্যাপার। মেয়েকে নিয়ে পার্লারে গিয়ে তার চুল ঠিকঠাক করে নিয়ে এলাম। তার দু’দিন পর যখন সে স্কুল থেকে ফিরে এলো, দেখলাম তার মাথার অন্যপাশের চুল কাটা।’

‘আমি যখন তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম, তখন সে বলল- তার স্কুলের এক শিক্ষিকা এই কাজ করেছে।’

এপির প্রতিবেদনে জানা গেছে, জুরনি হফমেয়ার মিশ্র বর্ণের শিশু। তার বাবা কৃষ্ণাঙ্গ এবং মা শ্বেতাঙ্গ।

মেয়ের প্রতি বর্ণবিদ্বেষী আচরণের অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার মিশিগানের আদালতে মামলা করনে জিমি হফম্যান। মামলায় ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা ও দুইজন কর্মচারীকে আসামি করা হয়।

মামলায় মেয়ের সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষী আচরণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি।

এদিকে, এক বিবৃতিতে মাউন্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে জানিয়েছে, অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকা শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ করেছে বটে, তবে তার এই আচরণের পেছনে কোনো বর্ণবিদ্বেষী অভিপ্রায় ছিল না।

স্কুলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য  ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এসএমডব্লিউ