ভ্রমণের আগে মানুষের সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেই স্থানটি নিরাপদ কি না। বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ‘নিরাপদ’-এর সংজ্ঞা বদলে গেছে। এর মধ্যে ২০২১ সালের নতুন এক সূচকে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ শহরের তালিকায় দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে ঢাকার।

লন্ডনভিত্তিক প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট চলতি বছরের বিশ্বের নিরাপদ শহরের সূচক প্রকাশ করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, অবকাঠামো, ব্যক্তিগত সুরক্ষার সঙ্গে এবার নতুন করে পরিবেশগত সুরক্ষার ভিত্তিতে বিশ্বের মোট ৬০টি শহরকে নিয়ে করা হয়েছে নিরাপদ শহরের তালিকা।

পাঁচটি বিষয়কে ভিত্তি হিসেবে ধরে গড়ে একশ পয়েন্টের ভিত্তিতে সূচকটি তৈরি করেছে ইকনোমিস্ট। তাতে গড়ে ৪৮ দশমিক ৯ পয়েন্ট পেয়েছে ঢাকা। এর মধ্যে অবকাঠামো ৪৯ দশমিক ৬, ডিজিটাল নিরাপত্তা ৩৯, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ৪৬ দশমিক ৬, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৫০ দশমিক ৯ এবং পরিবেশগত সুরক্ষা ৫৮ দশমিক ২ পয়েন্ট পেয়েছে।   

দুই বছর অন্তর প্রকাশিত নিরাপদ শহরের তালিকায় ইকোনমিস্টের বিচারে এবার ঢাকার শহরের অবস্থান ৫৪তম। সর্বশেষ ২০১৯ সালের তালিকায় ৫৬তম অবস্থানে ছিল ঢাকা। এর আগে ২০১৭ সালে ঢাকা ছিল ৫৮তম অবস্থানে। তবে ২০১৫ সালে ৫০টি শহরকে নিয়ে তালিকা করায় সেবার ঢাকার নামই ছিল না।   

এই সূচকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আধিপত্য ছিল এশিয়ার। জাপানের টোকিও এবং ওসাকা ছাড়াও নগররাষ্ট্র সিঙ্গাপুর ছিল তালিকার শীর্ষে। কিন্তু এবার ৮২ দশমিক ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটি দখল করেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন। গড়ে ৮২ দশমিক ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কানাডার টরন্টো।

অথচ ২০১৯ সালের সূচকে কোপেনহেগেন ছিল অষ্টম স্থানে। পরিবেশগত সুরক্ষায় এগিয়ে থাকায় সূচকে শহরটির এ উল্লম্ফন। পাঁচটি সূচকের মধ্যে অবকাঠামো ৮৯, ডিজিটাল নিরাপত্তা ৮২ দশমিক ২, ব্যক্তিগত সুরক্ষা ৮৬ দশমিক ৪, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ৭০ এবং পরিবেশগত সুরক্ষায় কোপেনহেগেন পেয়েছে ৮৪ দশমিক ৫ পয়েন্ট।

৮০ দশমিক ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার সিডনি চতুর্থ স্থানে এবং জাপানের টোকিও রয়েছে পঞ্চম স্থানে। ষষ্ঠ ও সপ্তম স্থানে আছে যথাক্রমে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম ও নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন। হংকং অষ্টম এবং নবম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। দশম স্থানটি সুইডেনের স্টকহোমের।

এএস