উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং বলেছেন, পিয়ংইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সংলাপে বসতে প্রস্তুত, যদি তারা (সিউল) তাদের ‘বৈরী নীতি’ পরিহার করে। কোরীয় যুদ্ধের অবসানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আহ্বান আসার পর এর প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করলেন তিনি।   

১৯৫০ সালে কোরিয়ার দুই অংশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। এর মধ্যে দিয়ে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়া নামে দুটি দেশ পায় বিশ্ব। ১৯৫৩ সালে যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘাতের অবসান ঘটলেও কোনো শান্তি চুক্তি না হওয়ায় দেশ দুটি কার্যত এখনো যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে। মাঝেমধ্যে সেই উত্তেজনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে।  

চীন সীমান্ত লাগোয়া উত্তর কোরিয়াকে সমর্থন দিয়ে আসছে বেইজিং। অপরদিকে দক্ষিণ কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্র। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি আর কোরিয়া উপদ্বীপে শান্তি প্রতিষ্ঠায় দুই কোরিয়া এবং তাদের ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের প্রতি আহ্বান জানান।  

প্রাথমিকভাবে মুন জা ইনের এমন প্রস্তাবকে ‘অপরিণত’ বলে মন্তব্য করেন উত্তর কোরিয়ার এক মন্ত্রী। তবে শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, কিম ইয়ো জং দক্ষিণের প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবটিকে ‘প্রশংসনীয়’ বলে মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি এটাকে ‘অপ্রত্যাশিত’ বলে আখ্যায়িত করেছে। 

দক্ষিণ যদি উত্তরের প্রতি তাদের বৈরী নীতি থেকে সরে আসে কেবল তখনই পিয়ংইয়ং আলোচনায় আগ্রহী হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবার আগে দ্বিচারী আচরণ, অযৌক্তিক পক্ষপাতিত্ব, বাজে অভ্যাস এবং বৈরী অবস্থানের কারণে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারের অনুশীলনকে দোষারোপের অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে তাদের।’ 

উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া এবং তাদের একনায়কতান্ত্রিক সরকারের নীতি নির্ধারণে বেশ প্রভাবশালী কিম জং উনের এ বোন আরও বলেন, ‘যখন তারা (দক্ষিণ কোরিয়া) এই ধরনের পূর্বশর্ত মেনে নেবে তখনই তাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসা এবং যুদ্ধের সার্থক সমাপ্তি ঘোষণা সম্ভব হবে।’ 

এএস