বিটকয়েন, ইথেরিয়াম, রিপল ও লাইটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সির (ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা) লেনদেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অনুমোদনহীন ডিজিটাল মুদ্রার ব্যবহার বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপের অংশ এই ঘোষণা। চীন এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ৮ শতাংশ দরপতনে ৪১ হাজার ডলারে দাঁড়িয়েছে বিটকয়েনের মূল্য। দরপতন হয়েছে ইথেরিয়ামেরও।

সম্প্রতি বিটকয়েনের লেনদেনের উপর কড়াকড়ি আরোপ করে চীনের সরকার। মূল ভূখণ্ডের বিনিয়োগকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে বিদেশী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিষিদ্ধ করা হয়। ওই ঘটনার পরপরই দর পতন শুরু হয় বিটকয়েনের। পাশাপাশি মূল্য পতন ঘটেছে অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিরও।

২০১৩ সালে চীনা ব্যাংকগুলোর জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হয়। এ বছরের শুরুতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ওপর কড়াকড়ির ঘোষণা দিয়েছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। ওই ঘোষণা পর ব্যাপক পরিমাণ ডিজিটাল মুদ্রা বিক্রি করে দিয়েছিলেন দেশটির ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনকারীরা। তবে তখন নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন উদ্বিগ্ন কর্মকর্তারা। 

শুক্রবার এক নোটিশে দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না জানায়, ‘বিটকয়েন, ইথেরিয়ামসহ অন্যান্য ডিজিটাল মুদ্রা আর্থিক ব্যবস্থায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং অর্থ পাচারসহ অন্যান্য অপরাধে ব্যবহার হচ্ছে। ভার্চুয়্যাল মুদ্রা সংক্রান্ত সমস্ত লেনদেন আর্থিক কার্যক্রমে অবৈধ এবং এর মাধ্যমে লেনদেনে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো।’     

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান লিখেছে, আর্থিক ব্যবস্থার ওপর ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণ যেন দুর্বল না হয় এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন সিদ্ধান্ত নিল। এছাড়া পিপলস ব্যাংক অব চায়না চীনা মুদ্রা ইউয়ানের ইলেকট্রিক সংস্করণ লৈতরির কাজ করছে। যা দিয়ে লেনদেন করা যাবে এবং এর নিয়ন্ত্রণও থাকবে বেইজিংয়ের হাতে।   

এএস