মধ্যপ্রাচ্যের তিন উপসাগরীয় দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও ওমানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে পাকিস্তান। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

এর আগে ২০০৪ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ৯ বছর মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থা উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ (জিসিসি) মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছে পাকিস্তান, কিন্তু তা সফল হয়নি।

সেই কারণে এবার আলাদাভাবে মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলের তিন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কে ভিত্তিতে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বাণিজ্য বিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুল রাজ্জাক দাউদ।

জিসিসির সদস্যদেশ ৬ টি- সৌদি আরব, ইউএই, ওমান, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইন।

রয়টার্সকে দাউদ বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, আঞ্চলিক সহযোগী সংস্থার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের চেয়ে দ্বিপাক্ষিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের উদ্যোগ অনেক বেশি কার্যকর, ফলপ্রসূ এবং সম্ভাবনাময়।’

পাকিস্তান মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলে কিছু পণ্য রফতানি করতে চায় বলে জানিয়েছেন দাউদ। কোন ধরনের পণ্য- তা যদিও স্পষ্ট করেননি তিনি; তবে বলেছেন, বাণিজ্যে উভয়পক্ষ লাভবান হলে ভবিষ্যতে রফতানিকৃত পণ্যের তালিকা আরও বড় হবে।

আগামী মাস থেকে দুবাইয়ে ৬ মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো পাকিস্তানও অংশ নিচ্ছে মেলায়। এ বিষয়ক প্রস্তুতি তদারক করতে সম্প্রতি দুবাই গিয়েছেন দাউদ। সেখানেই রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

দাউদের সঙ্গে কথা বলার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সৌদি আরব, ইউএই এবং ওমানের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পাকিস্তান। তবে তাদের কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর সবচেয়ে বড় অস্বস্তি দেশটির নিরাপত্তা বিষয়ক পরিস্থিতি। চলতি মাসে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে পাকিস্তানে পূর্বনির্ধারিত সফর বাতিল করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল।

একই সময়ে, অর্থাৎ সেপ্টেম্বরেই ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আটটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে চায় দেশটি। এসব দেশের মধ্যে ভারত, যুক্তরাজ্য, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের নাম থাকলেও পাকিস্তানের নাম নেই।

রয়টার্সকে এ বিষয়ে দাউদ বলেন, ‘এটি খুবই হতাশাজনক। পাকিস্তান সম্পর্কে যেসব পূর্বধারণা রয়েছে, সেসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা উচিত। পাকিস্তান আর আগের মতো ঝুঁকিপূর্ণ নেই।  

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ