ভারতের উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা ১৫ বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে অবাক চিকিৎসকরা। এই মেয়ে কাঁদলে চোখ থেকে পানি পড়ে না, ঝরে পাথর। এমনই দাবি ওই কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় মানুষের।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি স্টার জানিয়েছে, উত্তর ভারতের ওই এলাকাটি অদ্ভূত রকমের মেডিকেল ও চিকিৎসার রহস্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। পরিবার ও গ্রামের মানুষ চোখ দিয়ে পাথর পড়ার ঘটনা ঘটছে বলে জোর দিয়ে বললেও চিকিৎসকরা বলেছেন, বিজ্ঞানের যুক্তিতে এমনটি ঘটা সম্ভব নয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, উত্তরপ্রদেশের গাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এই মেয়ের কান্নায় পাথর দেখে কেউ কেউ আবার বলছেন, ওই মেয়ের আত্মায় অশুভ শক্তি ভর করেছে। কেউ বলছেন- এই কান্না ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের ইঙ্গিত। অবশ্য কিছু বলতে পারছেন না স্থানীয় চিকিৎসকরাও। তাদের মতে, কোনো যুক্তিতেই এমন ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।

ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি, শেষ দু’মাস ধরে কিশোরীর বাম চোখ থেকে ১০-১৫টি পাথর বাইরে এসে পড়েছে। এই ঘটনার ভিডিও করেছেন তারা। সেখানে চোখ থেকে দু’টি পাথর পড়তে দেখা যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তারা। যদিও ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে কাঁদলে চোখ দিয়ে পানি পড়ার বদলে পাথর পড়ার কারণে মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, বিজ্ঞানের যুক্তিতে এমন কোনো কিছু ঘটা সম্ভব নয়।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এই ধরনের অদ্ভুত ঘটনার উদাহরণ এটিই প্রথম নয়। এই রকম একটি ঘটনার সংবাদ ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সেসময় ইয়েমেনের ১২ বছরের এক কিশোরীর চোখ থেকে এমন পাথর পাথর পড়ার খবর প্রকাশ হয়েছিল।

টিএম