যুক্তরাজ্যকে ‘শিক্ষা’ দিতে কোয়ারেন্টাইন নীতিতে পরিবর্তন এনেছে ভারত। এই নীতি অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের কোনো নাগরিক ভারতে প্রবেশ করলেই তাকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

এমনকি, যুক্তরাজ্যের যেসব নাগরিক করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন, তাদেরকেও এক্ষেত্রে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।

গত সোমবার যুক্তরাজ্যে প্রবেশে ইচ্ছুক ভারতের নাগরিকদের জন্য বিষয়ে এক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ব্রিটেনের সরকার। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে, ভারতের যেসব নাগরিক কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের টিকা নিয়েছেন, তাদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার চার দিনের মধ্যেই সেই দেশের নাগরিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইন নীতিতে পরিবর্তন আনল ভারত।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এ সম্পর্কে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘ব্রিটেনের সরকার ভারতীয় যাত্রীদের ক্ষেত্রে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার বদলা হিসেবে আমরা কোয়ারেন্টাইন নীতিতে পরিবর্তন এনেছি।’

চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে গণ টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে ভারত। এই কর্মসূচিতে মূলত ব্যাবহার করা হচ্ছে করোনা টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড এবং ভারতীয় করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন।

কোভিশিল্ড টিকাটি প্রস্তুত করছে ভারতভিত্তিক বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।

এদিকে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আঞ্চলিক সংস্করণ হওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এই টিকাকে স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে যথেষ্ট চেষ্টা-তদবির করা হয়েছে, কিন্তু তাতে এখনও কোনো কাজ হয়নি।

ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়েই যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য (কোয়ারেন্টাইন নীতিতে) এই পরিবর্তন এনেছি। আপতত এটি ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই।’

এসএমডব্লিউ