তালেবান শাসকগোষ্ঠীকে কখন স্বীকৃতি দেওয়া হবে সেবিষয়ে আফগানিস্তানের প্রতিবেশিদের একটি ‌‘যৌথ কৌশলপত্র’ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেছেন, কাবুলে তালেবানের সরকারকে পাকিস্তানের একক স্বীকৃতি ‘খুব বেশি পার্থক্য’ তৈরি করবে না।

শনিবার তুরস্কের সম্প্রচারমাধ্যম টিআরটিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাবুলে তালেবান সরকার মেনে নেওয়ার বিষয়ে প্রতিবেশীদের সাথে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান সরকার।

‘যারা আফগানিস্তানের বিশৃঙ্খলায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে সেই প্রতিবেশিরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয় এবং একটি যৌথ নীতি তৈরি করে, তাহলে এটি পাকিস্তানের স্বীকৃতির চেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।’

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে— যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, রাশিয়া এবং চীনের স্বীকৃতি পেতে হবে; যা কাবুলে তালেবান সরকারের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে একটি পার্থক্য তৈরি করবে।

‘বড় প্রশ্ন হলো যুক্তরাষ্ট্র কখন তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে... আজ অথবা কাল, তাদের স্বীকৃতি দিতেই হবে। এই মুহূর্তে, আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের শুনানিতে দেখতে পাচ্ছেন তারা তালেবান আবারও ক্ষমতায় আসায় পুরোপুরি অবাক এবং বিভ্রান্তির মধ্যে আছেন।’

ইমরান খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের রিজার্ভ ছাড় না করে এবং আফগান সরকারের পতন হয়; তাহলে এটি একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করবে। আর এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন আফগানিস্তানের জনগণ।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছরের মধ্যে আফগানিস্তানের ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। যে কারণে তাদের একটি সমাধানে আসতে হবে। আমি বলতে চাচ্ছি যে, তাদের শিগগিরই অথবা আরও পরে আফগানিস্তানের জনগণের কথা ভাবতে হবে।

পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি সে ধরনের কিছু না হয়, তাহলে আমার ভয় হচ্ছে যে, এই অস্থিরতায় আমরা প্রত্যেকদিন আফগান জনগণকে হারাচ্ছি। এই সংকট আরও গভীর হতে যাচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত বাহিনী চলে যাওয়ার পরের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করে ইমরান খান বলেন, এবার ‘শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর’ হয়েছে; যা অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ছিল।

এসএস