করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পর দেশটি টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয়। মূলত ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের ওপর নির্ভর করেই ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছিল। 

সিরাম ইন্সটিটিউটে তৈরি যে টিকা বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল সময় মতো তা না পাওয়ায় মে মাসে করোনাভাইরাসের টিকার নিবন্ধন বন্ধ করেও দেওয়া হয়। পরে অন্যান্য বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পর দেশে টিকাদান কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক ধারায় ফেরে।   

এখন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে  আবারও করোনা টিকা পাঠানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নেপাল, মিয়ানমার এবং বাংলাদেশকে ১০ লাখ করে কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। চলতি মাসেই এ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। 

সিরাম ইনস্টিটিউট প্রতি মাসে তাদের কোভিশিল্ড টিকার উৎপাদন বাড়িয়েছে। বর্তমানে মাসে ২০ কোটির বেশি ডোজ উৎপাদন করছে সংস্থাটি। উৎপাদন আরও বেড়ে ২২ কোটি ডোজ হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ৬৬ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে। 

এনএফ