চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত থাকার মধ্যেই চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, মূলভূমির সাথে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এই পুনরেকত্রীকরণ শান্তিপূর্ণভাবেই অর্জিত হওয়া উচিত, কিন্তু একই সাথে তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে চীনের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

১৯১১ সালে চীনের বিপ্লবের বার্ষিকী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন শি জিনপিং। চীনের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের জবাবে তাইওয়ান বলেছে, দেশের ভবিষ্যৎ তার জনগণের হাতেই থাকবে। তাইওয়ান নিজেকে একটি স্বাধীন দেশ বলে মনে করে, কিন্তু চীন তাদের দেখে একটি বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে।

তাইওয়ানকে চীনের মূলভূমির সাথে আবার যুক্ত করতে শক্তি প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়নি বেইজিং। এমন এক সময় শি জিনপিং এসব কথা বললেন, যার আগের কিছুদিন ধরে রেকর্ডসংখ্যক চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের বিমান-প্রতিরক্ষা এলাকার মধ্যে অনুপ্রবেশ করে।

কিছু কিছু বিশ্লেষক বলেছেন, চীনা যুদ্ধবিমানের এই উড্ডয়ন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের প্রতি এক সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা যেতে পারে। রোববার তাইওয়ান তাদের জাতীয় দিবস পালন করতে যাচ্ছে এবং তার পটভূমিতেই চীনা যুদ্ধবিমানের এই কর্মকাণ্ডকে দেখা হচ্ছে।

তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা এখন গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। শি জিনপিং বলছেন, তাইওয়ানের সাথে চীনের পুনরেকত্রীকরণ শান্তিপূর্ণভাবে হওয়াটাই সার্বিকভাবে চীনের স্বার্থের অনুকুল হবে।

তার কথায়, হংকংএর ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছে, সেভাবেই তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও ‌‘এক দেশ দুই পদ্ধতি’ ভিত্তিতে এই একত্রীকরণ হোক - এমনটাই তিনি চান। ‘আমাদের মাতৃভূমির পুনরেকত্রীকরণের ঐতিহাসিক কাজ সম্পন্ন করতেই হবে এবং তা সম্পন্ন হবেই- বলেন শি জিনপিং।

চীনে কমিউনিস্টরা ১৯৪৯ সালে ক্ষমতা দখল করার পর তাইওয়ান মূলভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিবিসি।

এসএস