প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য-প্রমাণে দেখা যাচ্ছে, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘সম্ভবত বেশি’ প্রাণঘাতী। স্থানীয় সময় শুক্রবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিসন জনসন এমন শঙ্কার কথাই জানিয়েছেন। 

ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে জনসন বলেন, ‘কিছু তথ্য-প্রমাণ দেখে মনে হচ্ছে, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পাশপাশি লন্ডনসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শনাক্ত নতুন এই ধরনটিতে মৃত্যু হার সম্ভবত বেশি হতে পারে।‘

নতুন ধরন কতটা প্রাণঘাতী তা নিয়ে গবেষণা করছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড, ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন, লন্ডন স্কুল অব হাইজি ও ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার

ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিবি এ খবর জানিয়ে লিখেছে, তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও ব্যাপক অনিশ্চয়তা রয়েছে এবং আশার খবর হলো, করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরনেও টিকা কার্যকর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

করোনার নতুন ধরনে আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যুর হার এবং পুরনো ধরনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার নিয়ে গণিতবিদদের বিশ্লেষণ করা তথ্য হাতে আসার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন কথা জানালেন। 

জনসন আরও বলেছেন, ‘নতুন ধরনে মৃত্যু বেশি হওয়ার অর্থ এনএইচএস মারাত্মক এক চাপের মধ্যে রয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হওয়া করোনার নতুন ধরন দেশটির সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়া ভাইরাসটির সংক্রমণ ইতোমধ্যে বিশ্বের ষাটটির বেশি দেশে ছড়িয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

জনসন এমন আশঙ্কার খবর জানিয়ে আরও বলেছেন, ‘করোনার নতুন ধরনের কারণে মৃত্যুহার বেশি হওয়ার অর্থ হলো দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ (এনএইচএস) মারাত্মক এক চাপের মধ্যে রয়েছে।’

করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন পুরনোটির চেয়ে কতটা প্রাণঘাতী তা নিয়ে গবেষণা করছে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড, ইম্পেরিয়াল কলেজ অব লন্ডন, লন্ডন স্কুল অব হাইজি এবং ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার।   

করোনার নতুন ধরনের বিস্তার ও এর প্রাণঘাতী রুপ নিয়ে বিশ্লেষণের কাজটি মূল্যায়ন করছে যুক্তরাজ্যের পরামর্শক সংস্থা নিউ অ্যান্ড ইমারজিং রেসপিরেটরি ভাইরাস থ্রেটস অ্যাডভাইজরি গ্রুপ বা নার্ভট্যাগ।

এএস