শিগগিরই ভারতে যক্ষ্মার নতুন টিকার ট্রায়াল
২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মা দূর করার লক্ষ্যে কাজ করছে ভারত। এজন্য প্রয়োজন আরও আধুনিক টিকা। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের বিজ্ঞানীরা। তারা ইতোমধ্যে একটি নতুন টিকা তৈরির কার্যক্রম চালিয়েছেন। প্রায় ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুটি সম্ভাব্য টিকার তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণার ট্রায়ালের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
গবেষকরা দেখতে চান, যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের মধ্যে এ রোগ প্রতিরোধে টিকাগুলো কতটা কার্যকর। টিকা বাণিজ্যিকভাবে বা জাতীয় যক্ষ্মা প্রোগ্রামের অধীনে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত হওয়ার আগে ভারতের সাতটি সাইটের অংশগ্রহণকারীদের ওপর তিন বছরের জন্য পর্যবেক্ষণ চালানো হবে।
বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বিজ্ঞানী বলেন, ‘মহামারির মাঝামাঝি সময়ে এমন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমাদের এমন এমন পরিবারের সুস্থ মানুষদের (স্বেচ্ছাসেবক) খুঁজতে হয়েছিল যাদের যক্ষ্মা ধরা পড়েছিল।’ ডটস, বা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা চিকিৎসা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ করা যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কৌশলের নাম।
‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং চিকিত্সার জন্য প্রাথমিক ফলাফল কয়েক মাসের মধ্যেই আসতে শুরু করে,’ জানালেন গবেষক। পার্থক্য ব্যাখ্যা করে তিনি বলন, ‘যক্ষ্মা একটি দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা। ফলে যেকোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য আমাদের অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
ফুসফুসের যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য যেসব টিকা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মধ্যে একটি হলো ইম্মুভ্যাক। এটি আসলে কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ইম্মুভ্যাক (যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম ইন্ডিকাস প্রানি নামেও পরিচিত) কুষ্ঠ ব্যাকটেরিয়া এবং যক্ষ্মার ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে একই রকম অ্যান্টিজেন দেয়।
অন্য টিকাটি হলো VPM1002। এটি একটি রিকম্বিনেন্ট বিসিজি। এটি বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত টিকা। জার্মানিতে উদ্ভাবিত নতুন টিকাটিতে বিসিজির জেনেটিক কোডটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যা আরও বেশি করে যক্ষ্মার অ্যান্টিজেন দিতে সক্ষম হবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
এসএসএইচ