হামলার পর কঠোর বাংলাদেশ সরকার, চলেছে পূজাও: ভারত
চলতি বছরের দূর্গাপূজায় বাংলাদেশের কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলায় পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে সাম্প্রদায়িক হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকার দৃঢ় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এই ঘটনায় ভারতের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
বৃহস্পতিবার ভারতের রাজধানী দিল্লিতে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় উৎসবে হামলা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কিছু উদ্বেগজনক খবর আমরা দেখেছি।’
বিজ্ঞাপন
‘আমরা দেখেছি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনসহ বাংলাদেশ সরকার দ্রুত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।’
হামলার ঘটনার পরও দুর্গাপূজা উৎসব অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণের সহায়তার কথাও তুলে ধরেছেন অরিন্দম বাগচি।
বিজ্ঞাপন
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ সরকার আইনশৃঙ্খলা, বাহিনী ও জনগণের সহায়তায় দুর্গাপূজার চলমান উৎসব উদযাপন অব্যাহত রয়েছে।’
— Sidhant Sibal (@sidhant) October 14, 2021
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলার মধ্যেই ১৩ অক্টোবর (বুধবার) সকালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। কুমিল্লার নানুয়ার দীঘি এলাকায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে তাদের তোপের মুখে পড়ে। এক পর্যায়ে বাঁধে সংঘর্ষ।
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা চলার মধ্যেই বুধবার সকালে কুমিল্লায় কুরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে উত্তেজনা সৃষ্টি করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে, এক পর্যায়ে বাঁধে সংঘর্ষ।
কুমিল্লার এই ঘটনার জেরে সংঘর্ষ হয় চাঁদপুরে, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে সেখানে। হামলা-সংঘর্ষ- প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেও।
হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পর কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ বাংলাদেশের ২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সহিংসতা সৃষ্টিকারীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
এসএমডব্লিউ