ঋণগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়া এখন টাটা কোম্পানির হাতে। তবু সামনের পথটা যে কঠিন তা মেনে নিচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও। এ অবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়ার ওড়ার জন্য প্রতিদিন কেন্দ্র থেকে দিতে হচ্ছে ২০ কোটি টাকা। এমন খবর দিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।

কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেসমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের (দীপম) সচিব তুহিনকান্ত পান্ডে জানান, টাটার হাতে মোটেও এমন কোনো সংস্থা যাচ্ছে না, যা থেকে লাগাতার মুনাফা আসছে বা আয় হচ্ছে। বরং টাটার হাতে যে এয়ার ইন্ডিয়া যাচ্ছে, তাতে রক্তক্ষরণের মাত্রা আরও বাড়ছে। ঋণগ্রস্ত জাতীয় বিমান সংস্থাকে ঘুরে দাঁড় করানোর জন্য প্রচুর টাকা ঢালতে হবে। সেই সঙ্গে প্রথম এক বছরে কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করতে পারবে না। দ্বিতীয় বছর থেকে ভলেন্টিয়ারি রিটায়ারমেন্ট প্রকল্পের (ভিআরএস) আওতায় আনার পর কর্মী সংখ্যা কমবেশি করা যাবে।

পিটিআইকে পান্ডে বলেন, ‘কাজটা মোটেও সহজ নয়। একটাই সুবিধা হলো, যে টাকাটা ওরা (এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন মালিক) দিতে পারবে বলে মনে করছে, সেটাই ওরা দিচ্ছে।’ যে বছরগুলোতে ক্ষতি হয়েছে, সেই বছরগুলোতে এয়ার ইন্ডিয়াকে টাকা দেওয়ার জন্য যে বাড়তি ঋণ হয়েছে, তার পুরোটার ভার টাটার ওপর যাচ্ছে না। সঙ্গে তিনি জানান, টাটার হাতে এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষমতা যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে করদাতাদের প্রচুর টাকা বাঁচবে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে টাটা গ্রুপের অফার গ্রহণ করেছে ভারতের কেন্দ্র সরকার। যে গ্রুপ ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়ার ১৫ হাজার ৩০০ কোটি ঋণের বোঝাও টাটার কাঁধে চাপবে। গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ভারতের জাতীয় এ বিমান সংস্থার ঋণের পরিমাণ ছিল ৬১ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা। টাটা গ্রুপের হাতে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা তুলে দেওয়ার আগে সেই ঋণের ৭৫ শতাংশ বা ৪৬ হাজার ২৬২ কোটি টাকা এয়ার ইন্ডিয়া অ্যাসেটস হোল্ডিং লিমিটেডের (এআইএএইচএল) কাছে যাবে। তবে বসন্ত বিহারে এয়ার ইন্ডিয়ার হাউজিং কলোনি, মুম্বাইয়ের নরিম্যান পয়েন্ট এবং নয়াদিল্লিতে এয়ার ইন্ডিয়ার বিল্ডিং পাবে না টাটা।

পান্ডে জানিয়েছেন, ‘আমরা দ্রুত হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাই। কারণ আমরা এয়ার ইন্ডিয়া চালানোর জন্য প্রতিদিন ২০ কোটি খরচ করছি।’

নতুন মালিককে প্রচুর টাকা ঢালতে হবে। বিমানের উন্নতি, নতুন করে বিমানের সংস্কার এবং নতুন বিমানের বরাত দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকা লাগবে। তারপরই হয়ত টাটা ঘুরে দাঁড় করাতে পারবে এয়ার ইন্ডিয়াকে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

এসএসএইচ